গৌতম আদানির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সম্পর্ক কি খারাপ হয়েছে? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র জিনিসের বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংসদে ﷺপ্রশ্ন করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে কোনও কিছু প্রমাণ হওয়ার আগেই তাঁর সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হয়। আর তখন থেকেই রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে শুরু করে। কারণ এই বন্দর করার জন্য স্বয়ং গৌতম আদানিকে আসতে দেখা গিয়েছিল নবান্নে। বৈঠক করে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপর হঠাৎই সব থেমে যায়। বন্দর আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এই আবহে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিলেন।
এদিকে এই তাজপুর বন্দর নিয়ে যখন নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে তখন কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রহ থাকার ইঙ্গিত দিলেন জাহাজমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। আর তাতেই নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে তাজপুর বন্দর। এবার কলকাতায় অন্তর্দেশীয় জলপথ উন্নয়ন পরিষদের (আইডব্লিউডিসি) বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ক🀅েন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তাজপুর বন্দর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রহ ছিল। কিন্তু ওই বন্দর নিয়ে রাজ্য সরকার কিছুই জানায়নি। তার জেরে ওই বন্দরের ভবিষ্যৎ কী আমাদের জানা নেই। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রহ আছে।’
অন্যদিকে প্রায় ১০০০ দূষণহীন জলযান তৈরি করার জন্য এবার ‘হরিৎ নৌকা’ পরিকল্পনার রূপরেখা প্রকাশ করেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। তাঁর কথায়, ‘দেশে এখন ১১১টি জলপথের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে ২৬টির বিকাশ ছাড়াও ৮টিতে নৌ–পরিবহণের ক্ষমতা বাড়ানো হবে।’ এর ফলে জলপথে গোটা দেশের মানুষের উপকার হবে বলে তিনি মনে করেন। আবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, এ🌃ক দশক আগে কলকাতা বন্দর বছরে ৭০ কোটি টাকা ক্ষতিতে চলত। এখন সেখানে ৫৫০ কোটি মুনাফা করছে।
আরও পড়ুন: অমৃতা সিনহার স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত করবে সিআইডি, কড়া♛ নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
আর পশ্চিমবঙ্গে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী। এই বৈঠকে রাজ্যের পক্ষ থেকে ছিলেন পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন। আর কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘এখানে ২০টি কমিউনিটি জেটি তৈরি করে র⛎াজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হবে। বাংলায় নদীগুলির মজে যাওয়া ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চাওয়া হয়েছে।’ আর কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রীর বার্তা, ‘২০৪৭ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ জলপথে পণ্য পরিবহণের পরিকাঠামো বিকাশে সরকারি–বেসরকারি মিলিয়ে ১৫,২০০ কোটি টাকা লগ্নির লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর ক্রুজ নির্ভর পর্যটনে লগ্নির লক্ষ্য ৪৫ হাজার কোটি।’