আজ, রবিবার হয়ে গেল টেট পরীক্ষা। একবছরের মাথায় দ্বিতীয়বার প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা নিয়ে সাড়া ফেলে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যজুড়ে এই টেট পরীক্ষা দিলেন ৩ লক্ষের বেশি পরীক্ষার্থী। প্রশংসার বিষয় হল, এবার টেটের জন্য সুষ্ঠু এবং সুপরিকল্পিত বন্দোবস্ত করে রাজ্য সরকার। যার জেরে কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই সফলভাবে সময়মতো পরীকಞ্ষাকেন্দ্রে পৌঁছন পরীক্ষার্থীরা। আর গোটা পরীক্ষা পর্বে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তারপরও লোকসভা আগে এভাবে টাকা তোলার জন্য টেট পরীক্ষা নেওয়া হল বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা তুলোধনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এদিকে এই সাফল্যকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ শুভেন্দুর কথඣায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস সরকার লোকসভা নির্বাচনের আগে টাকা তোলার জন্য এবং চাকরি দেওয়ার ললিপপ প্রার্থীদের সামনে ঝোলাতেই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এই টেট পরীক্ষা থেকে কারও চাকরি হবে না। ২০১৭ সালে এবং ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হলেও নিয়োগ হয়নি। এবারের ক্ষেত্রেও এ🔴কই ফল হবে। রাজ্য সরকার বেকারদের অহেতুক হাজার টাকা করে খরচ করিয়ে দিল। ফর্ম পূরণের সময় ৫০০ টাকা আর আজ পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া, খাওয়াদাওয়ায় আরও ৫০০ টাকা করে খরচ হবে। তৃণমূল সরকার বেকারদের পকেট থেকে হাজার টাকা করে বের করে নিল।’
অন্যদিকে আজ টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। যদিও কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি বলেই দাবি করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে শুভেন্🍬দু অধিকারী এদিন জানান, টেট পরীক্ষায় সেটিং করা হয়েছে। পুলিশ টাকা নিয়ে এসব করেছে। পরীক্ষার হলে তৃণমূলের নেতা–মন্ত্রীদের ছ🔜েলেদের মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কিছু বিজেপি এবং সিপিএমের লোকের ষড়যন্ত্রে এটা হতে পারে। এটা রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা।’
আরও পড়ুন:▨ ‘সুকান্ত মজুমদার স🍃্বামীজিকে অপমান করলেন’, ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুললেন শশী পাঁজা
তবে এই টেট পরীক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি নস্যাৎ করে দেন রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ওঁর মাথাটা পুরোদস্তুর খারাপ হয়ে গিয়েছে। যে কোনও পরীক্ষায় একটি নির্ধারিত ফি থাকে। সেই নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সেই ফি নেওয়া হয়। সব রাজ্যেরও পরীক্ষাতেই এরকম ব্যবস্থা থাকে। এটার মধ্যে লুকোচুরির কোনও বিষয় নেই। একদিন আগেই শুভেন্দু বলেছেন রাজ্যে শীত পড়ছে না সেটার জন্যও তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী। ওর মাথাটা পুরোপুরি গিয়েছে।’