দ্বিতীয় বার মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের পর কলকাতা পুরসভার আয় বাড়া꧃নোর ওপর জোর দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, 'পুরসভার মাথায় ৭০০ কোটি টাকার দেনা রয়েছে। তাই পুরসভার আয় বাড়াতে সচেষ্ট থাকব।' এই অবস্থায় আয় বাড়াতে বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ের উপরে জোর দিচ্ছে পুরসভা। সে ক্ষেত্রে পুরকর না মেটালে কড়া মনোভাব দেখানো হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। সম্পত্তি কর না মেটানোর কারণে বুধবার রডন স্ট্রিটের একটি হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন পুরসভার আধিকারিকরা।
শপথ নেওয়ার পরেই পুরসভার আয় বাড়ানো নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে কোন ঠিকানায় কত পরিমাণ সম্পত্তি কর বাকি রয়েছে সেই অনুযায়ী তালিকা তৈরির জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তালি✨কা তৈরির কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছেন আধিকারিকরা।
সব মিলিয়ে ৫৫০টি ঠিকানা রয়েছে যেখানে অনাদায়ী সম্পত্তিকরের পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি। আবার ৬০০ ঠিকানায় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি সম্পত্তি কর বকেয়া রয়েছে। জানা যাচ্ছে, সম্পত্তি কর ন🃏া মেটালে সে ক্ষেত্রে এই ঠিকানাগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। সূত্রের খবর, আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই এ নিয়ে অভিযানে নামতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, রডন স্ট্রিটের যে হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে সেখানে কর🧜 বাকি রয়েছে প্রায় তিন কোটি। ২০০৫ সাল থেকে ওই হোটেলের কর বাকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০১৪ সালে কর বাবদ ৫৬ লক্ষ টাকার চেক তারা পুরসভাকে দিলেও তা বাউন্স হয়ে যায়। সেই কারণে হোটেলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। পুরসভার আধিকারিকদের কথায়, প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন বকেয়া কর আদায়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছিলেন। তাতে লাভও হয়েছিল কলকাতা পুরসভার। নতুন মেয়রের কড়া মনোভাবের ফলে কলকাতা পুরসভার আয় বাড়বে🧸 বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।