দীপাবলির দুপুরে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে একটি চামড়ার ব্যাগের কারখানায়। ১৬ টি দমকল ইঞ্জিনের সাহায্যে অবশেষে সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেন দমকল কর্মীরা। আগুন নেভাতে সময় লেগেছে প্রায় ১৪ ঘণ্টা।﷽ তবে আগুনে হতাহতের কোনও খবর না পাওয়া গেলে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে কারখানার দোতলা থেকে চারতলা পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশ। আজ সকাল ৭ টা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
ব🍌ানতলার চর্মনগরীতে বিধ্বংসী আগু🥀ন, দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন কাজ করছে
সোমবার শহরবাসী যখন দীপাবলির আনন্দে মাতোয়ারা সেই সময় আগুন লেগেছিল লেদার কমপ্লেক্সের ওই ব্যাগের কারখানায়। দুপুর ২ღটো নাগাদ আগুন লাগে। প্রথম কারখানার কর্মীরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। তবে ঝড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে আগুন নেভাতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকল কর্মীদের। দমকলের ১৬ টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ক্রমে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করতে থাকে কারখানার বাকি অংশ। কারখানার গ্রাউন্ড ফ্লোরে আগুন লেগেছিল। পাঁচতলা পর্যন্ত আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
অন্যদিকে, কারখানার বেশ কয়েকজন শ্রমিক প্রাণ বাঁচাতে পাঁচ তলার ছাদে উঠে পড়েন। সেখানে তারা আটকে যান। শেষমেষ দমকল কর্মীরা ল্যাডারের সাহায্যে তাদের উদ্ধার করে। কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য রাসায়নিক থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর চলে না আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ। শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে সকাল সাতটা পর্যন্ত চলে কুলিংয়ের কাজ। কী কারণে আগুন তা জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট অথবা বাজি থেকে আগুন লাগতে প♐ারে।