এই যে বাংলা জুড়ে এত জমি তার মধ্যে কোনটা সরকারি আর কোনটা সরকারি নয় সেটা বোঝা বেশ দুষ্কর। সবথেকে বড় কথা হল সেই নির্দিষ্ট জমিটা যে সরকারি সেটা বোঝানোর জন্য় অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও বোর্ড দেওয়া নেই। তবে খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর ধমকের পরে নড়েচড়ে বসছে সংশ্লিষ্ট দফতরꦆ।
সরকারি জমি জবরদখলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এনিয়ে রীতিমতো ধমক দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী মন্ত্রী, আমলাদেরও রেয়াত করেননি তিনি। এরপর ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিবেক কুমার। আর শুক্রবার সেই আধিকারিক দফতরের অন্তত ৫০০ জন আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন। জবরদখল রুখতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। 🎀সেই সঙ্গেই সরকারি জমিগুলিকে যাতে চিহ্নিত করা হয় সেব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিকে সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে আপাতত ঠিক করা হয়েছে কোনটা সরকারি জমি সেটা চিহ্নিত করতে হবে। সেই অনুসারে সেই নির্দিষ্ট জায়গায় বোর্ড বসাতে হবে। সেই বোর্ডে লিখে দিতে হবে যে সেখানে যে জমিটি রয়েছে সেটা রাজ্য সরকারের। এর ফলে সকেলরই বুঝতে সুবিধা হবে যে সেটা সরকারি জমি।
সেক্ষেত্রে রাজ্যের সমস্ত সরকারি জমি যেগুলি পড়ে রয়েছে সেগুলিতে সাইনবোর্ড লাগানোর কথা বলা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের এনিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্লকস্তরে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকরা এনিয়ে নজরদারি করবেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এনিয়ে খোঁজখবর নেবেন। যে সমস্ত জমি বেদখল হ🅷য়ে গিয়েছে সেগুলি ফের সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য় উদ্যোগ নিতে হবে।
তবে বাস্তবে সেটা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। গোটা বাংলাজুড়ে একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে সরকারি জমিতে বিরাট নির্মাণ হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সুন্দরবন সর্বত্র একই ছবি। শিলিগুড়িতে একাধিক তৃণমূল ജনেতার নামও এই জমি দখলের ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছে। সরকারি তরফে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে গোটা দফতর কি এতদিন ঘুমিয়ে ছি🦩ল? দিনের পর দিন সকলের চোখের সামনে এই নির্মাণ হল। এমনকী একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে গোটা ব্রিজের গোটাটাই দোকান হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও সরকারের কোনও হুঁশ নেই।