'তিনজ♔নই চোর, এটা তো হওয়ারই ছিল'- গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানগামী গাড়িতে ওঠার পরই সেই মন্তব্যটা ছুড়ে দিলেন এক ব্যক্তি। কোন তিনজন 'চোর'? নাম ও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ওই ব্যক্তি দাবি করলেন, একজন তো প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম। গার্ডেনরিচ এলাকায় বাকি দু'জন কে হতে পারেন, সেটা বুঝে নিন।
তিনি শুধু একা নন, বাকি দু'জনের পরিচয় নিয়ে কেউ-ই মুখ খুলতে চাইছিলেন না। কিন্তু অধিকাংশই লোকজনই দাবি করলেন, যে ঘটনাটা রবিবার রাতে হয়েছে, সে🉐টা আগেও হতে পারত। তাই তাঁরা ঘটনার বীভৎসতায় শিউরে গেলেও এরকম বিপদ যে আসতে পারে, সেটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল না বলে দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁরা বরং ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিচ্ছেন এটা ভেবে যে রাত🐲 ১২টা নাগাদ নির্মীয়মান বাড়িটি ভেঙে পড়েছে। নাহলে প্রাণহানির সংখ্যাটা কয়েকগুণ বাড়তে পারত।
পুলিশের ব্যারিকেড করে দেওয়া রাস্তার সামনে দিয়ে নাতির সঙ্গে যাওয়ার সময় এক বৃদ্ধ দাবি করলেন, যেখানে বাড়িটি ছিল, তার আশপাশে এমনিতে লোকজনের আনাগোনা থাকে। অনেকটা রাত হয়ে ♔যাওয়ায় বেশি লোক ছিলেন না। বিশেষত সেহরির কারণে খুব ভোরে উঠে পড়েন অনেকে। তাই বেশি লোকজন ছিলেন না। নাহলে কী যে হত, সেটা ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন তিনি। তাঁর সুরেই অপর পঞ্চাশের কোটায় থাকা এক ব্যক্তি দাবি করলেন যে ঈশ্বরের কৃপায় আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু তারপরও যা ঘটেছে, সেটা জীবনের নিকৃষ্টতম দুঃস্বপ্নের থেকেও বেশি কিছু। ধ্বংসস্তূপ থেকে যে দুই বোনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের স্রেফ চোখে দেখা যাচ্ছিল না। ওই দৃশ্যের যে বীভৎসতা ছিল, তা আগে কখনও দেখেননি।
ওই ব্যক্তি দাবি করেন, বেআইনি বহুতল, বাড়ি ভেঙে পড়া - সবকিছু মাথায় রাখলেও এত ভয়াবহ পরিণতি যে হয়েছে, সেটার জন্য দায়ি হল সংকীর্ণ রাস্তা। ওই এলাকার রাস্তা এতটাই সংকীর্ণ যে উদ্ধারকাজে বড়-বড় মেশিন ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যদি ওইসব মেশিন ব্যবহার করা যেত, তাহলে এতজনের প্রাণহানি হত না। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করা যেত। অপর একজন আবার হাত মেপে দেখাতে থাকেন যে কতটা সংকীর্ণ রাস্তাটা। আর শুধু একটা জায়গায় নয়, যেখানে বহুতল ভেঙে পড়েছে, সেখানকার কোনও গলিতে দাঁড়িয়েই দু'চোখ ভরে আকাশꦅ দেখা যাবে না। দুটি বাড়ির মধ্যে চার ফুট দূরত্ব থাকার বিষয়টা তো স্রেফ অশ্বডিম্ব, ডুমুরের ফুল।
কিন্🧸তু এরকম ঘটনার পরেও কি কোনও কিছু পরিবর্তন হবে না? অসহায় হ🉐াসি নিয়ে এক ব্যক্তির উক্তি উড়ে গেল, ‘এখন এরকম ঘটেছে বলে দু'দিন আলোচনা হচ্ছে। আলোচনা থিতিয়ে গেলেই যে কে সেই শুরু হয়ে যাবে। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে আমাদের থেকে বেশি খুশি কে বা হতেই পারে!’
আরও পড়ুন: Garden Reach disaster: গিলোটিন চলতে পারে…গ🎃ার্ডেনরিচে বাড়ি ধস নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন মেয়র শোভন?