নিষ্পাপ শিশুটির কোনও দোষ ছিল না। মা–বাবার সঙ্গে বেরোতে চেয়েছিল। আর মা–বাবাকে বেরোতেই হতো, কারণ বাড়িতে থাকা মেয়ের জ্বর। তাই ওষুধ কিনতে যেতেই হতো। এই ওষুধ কিনতে দোকানে আসাই কাল হলো শিশুটির জীবনে। দিদির জন্য ওষুধ কিনতে এসেছিল বাবা–মায়ের সঙ্গে। কিন্তু আর ফেরা হল না বাড়িতে। কারণ পিক–আপ ভ্যানটি ধাক্কা দিয়েছিল ওই শিশুটির বাবার সাইকেলে। আর সেখান থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে তিন বছরের শিশুটি। তার পরে ভ্যানের চাকাতেই 🦄পিষে গেল শিশুটি। শুক্রবার সন্ধ্যায় এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তপসিয়া ইস্ট রোডে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই শিশুটির নাম শেখ আরিয়ান। ওই ঘটনার পরে রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পিক–আপ ভ্যানটি এই ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে 🌃যায়। তখন রাস্তা অনেকটা শুনশান হয়ে পড়েছিল। সন্তান হারানো বাবা শেখ জামশেদ ও মা রেহানা বিবি পেশায় কাগজকুড়ানি। শেখ জামশেদ সাইকেলে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে𝕴 ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে মেয়ের জন্য যে ওষুধ লিখে দেওয়া হয়েছিল সেটাই কিনতে গিয়েছিলেন তাঁরা। ওষুধ কিনে ফেরার পথেই ঘটে দুর্ঘটনা।
এই নিয়ে গোটা এলাকা তেতে ওঠে রাতে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিশুকে হারিয়ে বাবা–মা এখন শোকার্ত। এলাকায় মানুষজন উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। এই এলাকাটি প্রগতি ময়দান থা🥀নার অন্তর্গত। সেখানেও মানুষ ভিড় করে রাতে। অভিযুক্তদের ধরাไ হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। পিক–আপ ভ্যান বেপরোয়া গতিতে এসে সাইকেলে ধাক্কা মারে। তার দেরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পরেই শিশুটিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতেই দেখা যায় রাস্তা রক্তে 🅰ভেসে গিয়েছে। একটি শিশুকে এইভাবে মারা যেতে পারে ভাবা যায় না। এই এলাকায় প্রায়ই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলে। তা নিয়ে বিস্তরꦡ অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই বেপরোয়া গতিরই বলি হল একরত্তি শিশুটি।