আরজি করের ঘটনার জেরে অস্বস্তি বেড়েছিল তৃণমূলের। এমনকী শাসকদলের অন্দরমহল থেকে এমন স𝕴ুর ভেসে আসছিল যা তৃণমূলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। তবে সামনেই একাধিক কেন্দ্রে উপনির্বাচন। আর সেই নিরিখে গত কয়েকদিন ধরেই কার্যত আদা জল খেয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ে তৃণমূল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষদের মতে, মূলত তৃণমূল এবার জনসংযোগের উপর জোর দিতে চাইছে। আর বিজয়া সম্মিলনীকে হাতিয়ার করে শুরু হয়েছে তৃণমূলের ক্ষত মেরামতির কাজ। দলের অন্দরে কিংবা সাধারণ মানুষের মধ্য়ে কোথাও কোনও ক্ষোভ𝄹 রয়েছে কি না সেটা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শাসকদল। আর বিজয়া সম্মিলনীর সংখ্যা দেখলেই বোঝা যাচ্ছে আসলে কতটা চাপে রয়েছে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
রবিবার একই দিনে শতাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে বিজয়া সম্মিলনীꦍর আয়োজন করা হয়েছিল। হিসেব বলছে রাজ্যের শতাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রায় দেড়শোটি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। অর্থাৎ বহু জায়গায় একটি বিধানসভা কেন্দ্রে একাধিক বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে।
একদিকে তৃণমূলের মূল সংগঠনের নেতা-নেত্রীরা। আর অন্যদিকে শাসকদলের বিভিন্ন বিভিন্ন শাখা সংগঠনের নেতানেত্রীরা এই বিজয়া 𒀰সম্মিলনীর আয়োজন করেন। তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতৃত্ব এই বিজয়া সম্মিলনীতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদ যেখানে যত নেতা নেত্রী রয়েছেন এখন লক্💫ষ্য একটাই বিজয়া সম্মিলনী।
কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় এই ဣবিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতার রাসবিহারী কেন্দ্রে একই দিনে অন্তত ৬টি বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। ভবানীপুর, কাশীপুর, বেলগাছিয়া, দমদম, এন্টালি, শ্যামপুকুর, সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী।
সেই সঙ্গেই জেলাগুলিতেও বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিচ্ছেন নেতা নেত্রীরা। এদিকে সেই বিজয়া সম্মিলনীতেও ঘুরে ফিরে আসছে আরজি করের প্রসঙ্গ। ঘটনার নিন্দা করলেও রাজ্য সরকার কীভাবে রা🌸জ্যকে সুরক্ষিত রাখতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সেকথা ফলাও করে বলছেন শাসকদলের নেতৃত্ব। রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথাও তুলে ধরা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই আসছে কেন্দ্র𝕴ীয় বঞ্চনার প্রসঙ্গ।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সব জায়গায় বিজয়া সম্মিলনী খুব সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এমনটা নয়। একাধিক জায়গায় এই বিজয়া সম্মিলনী করা নিয়েও নানা দ্বন্দ্ব সামনে আসছে। এমনকী হাতাহাতির ঘটনাও হয়েছে। তবে আপাত🐬ত দ্বন্দ্ব যতটা সম্ভব মিটিয়ে ক্ষত মেরা💫মতির উপরই জোর দিচ্ছে তৃণমূল। হাতিয়ার এখন বিজয়ার প্রণাম।