পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস বিরোধী হিসাবে দাগ কাটতে পারেনি। কিছুদিন আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কংগ্রেস যেখানে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে লড়েছে সেখানেই হেরেছে। সুতরাং একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বিকল꧋্প। এই নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কংগ্রেসের এখন উচিত তৃণমূল কংগ্রেসে মিশে যাওয়া।’ এবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায়, বিজেপি বিরোধিতায় সফল নেতৃত্বকে নিয়ে লড়াইয়ের ডাক দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
ঠিক কী বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের? জাগো বাংলায় স্পষ্ট লেখা হয়েছে, ‘কংগ্রেস ছেড়ে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত তাঁদের সঙ্গে নিয়ে চলুন। নতুন সফল নেতৃত্ব ও মিলিত মঞ্চ জরুরি। বিজেপির সঙ্গে লড়তে একমাত্র তৃণমূলই পারে, আর কেউ নয়। উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি অনেক লড়েছে। বিজেপি কারচুপি করেছে। তাও ভোট কমেছে। বিজেপির চোখে ♍চোখ রেখে লড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেসই। আর কেউ নয়। কংগ্রেসের উচিত আয়নায় মুখ দেখা। পঞ্জাবে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে🍃 কংগ্রেস যে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে তা প্রমাণিত। ফলে কংগ্রেসে যাঁরা ছিলেন, ভাবধারা এক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশিল, তাঁদের মধ্যে যাঁরা পরীক্ষিত, মানুষের কাছে গৃহীত এবং প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব সেই মুখগুলিকেও সামনে আনতে হবে। কংগ্রেসকেও বুঝতে হবে যে আমরা কংগ্রেস এই বলে যদি তারা জেদ করে বসে থাকেন তাহলে বিজেপির সুবিধা হবে। কারণ তাঁদেরও একার দায়িত্ব রয়েছে এই লড়াইয়ে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির রথ রুখে দেওয়া গিয়েছিল। তারপর থেকে বাংলার অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে বিজেপি। উপনির্বাচন, চার পুরনিগমের নির্বাচন, কলকাতা পুরসভার নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে বিজেপিকে সাফ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলার বাইরে চার রাজ্যে সফল হয়েছ💝ে বিজেপি। তাই এই বিজেপির বিকল্প হতে পারে তৃণমূল কং💝গ্রেস বলে ফের বার্তা দেওয়া হল।