খাস কলকাতায় প্রকাশ্যে উঠে এল তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব। আর তা সামলাতে এগিয়ে আসতে হল স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার তপসিয়ায় অগ্নিকাণ্ডের তদারকি করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত কুমার ঘোষকে। এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাশের ওয়ার্ড ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্তর অভিযোগ, দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। এমনকী এই ঘটনার জেরে এদিন তাঁকে ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।এরইমধ্যে এই ঘটনার কথা পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। তপসিয়ায় এদিন অগ্নিকাণ্ডের পরিস্থিতি দেখতে দিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিবাদ সামলাতে হস্তক্ষেপ করতে হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার কথা সবটা শুনে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমি বরদাস্ত করব না।’ আক্রান্ত সুশান্ত কুমার ঘোষ এদিন আনন্দবাজার পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ২ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে বলে তাঁকে কথা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি সুশান্তকে ফোন করে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আর কোনও ঝামেলা না হয়।কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? এদিন হাসপাতালে যাওয়ার পথে সুশান্ত জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবরে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশেই এদিন তিনি গিয়েছিলেন তপসিয়ার দাতাবাবা এলাকায়। এলাকায় পৌঁছতেই তাঁর ওপর ঝাপিয়ে পড়ে কয়েকজন যুবক। সুশান্তর অভিযোগ, ওই যুবকরা তার গাড়ির ওপর বাঁশ নিয়ে হামলা চালায়। সুশান্ত ঘোষের দাবি, ওই যুবকরা ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও বর্তমান কোঅর্ডিনেটর ফৈয়াজ আহমেদ খানের ঘনিষ্ঠ।উল্লেখ্য, ফৈয়জ আহমেদ খান মন্ত্রী জাভেদ খানের ছেলে। এদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন তিনি। সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ শুনে মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘এদিন গোটা সময় আমি পুলিশ–প্রশাসনের সঙ্গেই ছিলাম। সুশান্তর সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা হয়েছে বলে জানি না।’ পাল্টা তিনি অভিযোগ করেন, ‘মিথ্যা কথা বলছে সুশান্ত ঘোষ। দলীয় নেতৃত্বের খবর নেওয়া উচিত আদতে কী হয়েছে।’এদিকে, এদিন রাতে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে সুশান্ত কুমার ঘোষ লিখেছেন, ‘আমরা চলি সমুখপানে/ কে আমাদের বাঁধবে/ করল যারা আমায় আঘাত/ কাঁদবে তারা কাঁদবে।’ এভাবেই এদিন প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।