থামছে না বিদ্রোহ। অভিমান থেকে ক্ষোভের আঁচ বেড়েই চলেছে কুণাল ঘোষের। এবার আবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বোমা ফাটালেন কুণাল ঘোষ। আগের টুইটে নাম–গন্ধ নেননি। কিন্তু বরাহনগরের বিধায়ক তাপস রায় হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিতেই কুণাল তা তুলে নিয়ে সামনে নিয়ে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্যু। এমনকী সরাসরি ভুবনেশ্বরে জেল হেফাজতে থাকার সময় বেসরকারি হাসপাতালের বিল কে দিয়েছিল? সেটা তদন্ত করা উচিত এজেন্সির বলে দাবি তুলেছেন কুণাল। সুতরাং চাপ বেড়েছে উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের উপর। ইডি–সিবিআইকে এবার তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এক্ষেত্রে গরমিল পাও🍃য়া গেলে সুদীপের আবার গ্রেফতার হওয়া উচিত বলে দাবি কুণালের।
এই নানা দাবি তুলে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কুণাল। দলের অন্দরে এমন সময় এই ঝামেলা শুরু হল যখন একদিকে ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ। অপরদিকে সামনে লোকসভা নির্বাচন। এই আবহেই আজ, শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘অ্যাপলো, ভুবনেশ্বরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকার সময় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও লেনদেনের তদন্ত হওয়াꦇ প্রয়োজন। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অ্যাপলোতে ভর্তির সময় বড় অঙ্কের টাকা দিতে হয়। সেই টাকা তিনি দিয়েছিলেন নাকি তার হয়ে কেউ দিয়েছিল তার তদন্ত করা হোক। যদি গরমিল পাওয়া যায় তাহলে তা কয়🔜লা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। তাই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার গ্রেফতার করা উচিত। যদি এজেন্সি সেটা করতে না চায় তাহলে তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হব।’
এদিকে এমন অবস্থায় কুণালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বরাহনগ🌱রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। তিনি এবার লোকসভা নির্বাচনে সুদীপের হয়ে💛 কাজ করতে রাজি নন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘আমি কারও নামে এভাবে বলতে চাই না। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সামান্য সৈনিক। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু আমি সাংগঠনিকভাবে রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র। কোথাও মনে হচ্ছে, বেমানান হয়ে যাচ্ছি। সমস্যা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপ–নামখানা উপকূল এলাকায় লাইসেন্স নবীকরণ বন্ধ, মাথায় হাত মꦿৎস্যজীবীদের
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল কংগ্রেসের জোড়া পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো বদল করেছেন। টুইট করে কড়া ভাষা প্রয়োগ করেছেন। সব মিলিয়ে দলের অন্দরে চরম অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় কুণালের কথায়, ‘উত্তর কলকাতায় সুদীপদা একটা বড় সাইজের শাহাজাহান। সব ফুল রে🉐খে চলে। বিজেপির দালাল। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে রোজভ্যালি কেস থেকে বাঁচিয়ে রেখেছে মোদী সরকার।’