কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল করা হয়েছে। তা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদ খারিজের কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়। বিধায়ক জানান, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিতেন তিনি। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনও করতেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমা করে দিতে বলেন। তাই সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। এই মন্তব্য চাউর হ💛তেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক? এদিন নিজের বিধানসভ𝄹া এলাকা বরানগরে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিধায়ক তাপস রায়। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে সরাসরি বলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ দিতাম। ঠিকমতো প্রিভিলেজ আনলে ওঁর বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নিষেধ করে বলেন, ক্ষমা করে দিতে।’ অর্থাৎ শুভেন্দুর সঙ্গে এমন ঘটতেই পারে কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। এটাকে কার্যত অনেকে হুঁশিয়ারি হিসাবে দেখছেন। আর সে কথা শুভেন্দু অধিকারীর কানে পৌঁছে গিয়েছে।
ঠিক কী বলছেন বিরোধী দলনেতা? তাপস রায়ের মন্তব্য নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। আজ, রবিবার নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব🦩্লকের গোপালপুর পশ্চিমপল্লী ১০৮ নম্বর বুথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মো✱দীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তাঁকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শুভেন্দু বলেন, ‘ক্ষমতা থাকলে করে দেখাক। ওদের উপরেও অনেক লোক আছে। ভারতের বিচার ব্যবস্থা এখনও মরে যায়নি। আমাকে সাসপেন্ড করছিল, প্রত্যাহার করতে হল কেন? ভারতের বিচারব্যবস্থা এখনও জিন্দা আছে।’