নবীন–প্রবীণ দ্বন্দ্ব যেন মিটেও মিটছে না। কারণ কুণাল ঘোষ এই ইস্যুতে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেছিলেন। এবার একহাত নিলেন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়। জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সুদীপ বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থাকবেন না, বাংলার অবস্থা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্꧒চার মতো হয়ে যাবে।’ এই মন্তব্য নিয়ে এবার তুলোধনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অপর বর্ষীয়ান নেতা তথা বিধায়ক তাপস র💦ায়। সুতরাং বিষয়টি আর নবীন–প্রবীণ স্তরে রইল না। এবার প্রবীণ বনাম প্রবীণ লড়াই শুরু হয়ে গেল।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে সুদীপ বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে। সুদীপ এই কথা বলতেই তীব্র সমালোচনা করেন কুণাল ঘোষ। এবার এই বিষয়ে প্রবীণ নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য🧸ায়ের মতো সর্বভারতীয় স্তরের একজন এত বড় নেতা থাকতে বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হবে কেন! বালাই ষাট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন না কেন! এই কথা বললেন কী করতে উনি। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে কম করে ১০–১২ বছরের বড়। উনি এই কথা বলেন কী করে।’ যদিও এখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় চুপচাপ।
অন্যদিকে সকলেই জানেন সুদীপ বন♈্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারেই পছন্দ করেন না তাপস রায়। একুশে জুলাইয়ের আগে এক ঘরোয়া আড্ডায় অভিষেক বন্দ্যোপ🏅াধ্যায়কে তাপস রায় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, উত্তর কলকাতায় সুদীপ আবার প্রার্থী হলে তাঁর কোনও প্রচার করতে পারবেন না তিনি। আর এবার সুদীপের মন্তব্য নিয়ে তাপস রায়ের বক্তব্য, ‘দেখে ভাল লাগছে ওনার বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে। ৬ বছরের জন্য উনি ওনার স্ত্রীকে নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে গিয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, তৃণমূল পার্টিটা ছ’মাসও টিকবে না। তখন তিনি আর কী কী বলেছিলেন, অনেকেরই মনে আছে। তার পর আবার সুড়় সুড় করে ফিরে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘উনি ভাল করে ভেসলিন মেখে রোজ স্নান করুন’, নন্দিনী🥃 ইস্যুতে শুভেন্দুকে খোঁচা কুণালের
প্রবীণ নেতাকে আর এক প্রবীণ নেতার এই খোঁচাতে দলের অন্দরে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তাপস রায় পুরনো নেতা হলেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। তাই তাঁ🐠র কথায়, ‘আরও অনেক কিছু বলেছিলেন। সেই কাগজপত্র আমাদের🦋 কাছে আছে। ওঁরা স্বামী–স্ত্রী মিলে দলের বিরুদ্ধে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলেছিলেন। এঁরা কথা বলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। আশা করব, এরপর ওঁরা কথা কম বলবেন। এঁরা পরিশ্রম করেননি, খাটেননি, সংগঠন করেননি। এঁরা অলস, কুঁড়ে। বরাবর চাটুকারিতাকে, স্তাবকতাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। যদি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি না করে অভিনয় করতেন, দাদাসাহেব ফালকে তাঁর জন্য রাখা ছিল। অস্কার পেতেন কি না জানি না, তবে অস্কারে নাম বিবেচিত হতো।’