ইডি’র বিজ্ঞপ্তিতে নাম লেখা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে তিনি অভিযুক্ত এমন কথা লেখা নেই। একটিﷺ সংস্থায় আগে যুক্ত ছিলেন শীর্ষ পদে সেটা উল্লেখ করা রয়েছে। সেই বিবৃতিকে নিয়েই প্রথম আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জবাব দেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই তর্ক–যুদ্ধ রাত পর্যন্ত চলে। তখন অভিষেক ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুঁড়ে দিয়ে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসতে বলেন শুভেন্দুকে। কিন্তু সেই পথে হাঁটতে চাইলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর যুক্তি, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে আসার পরে অভিষেকের সঙ্গে বসা অর্থহীন। তৃণমূল কংগ্রেস খোঁচা দিয়ে বলছে, পলায়ন মনোবৃত্তি। শুভেন্দুর কাছে জবাব নেই। তাই এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ঠ๊িক কী বলেছেন শুভেন্দু? শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যখন টুইট যুদ্ধ চলছিল তখন অভিষেকের চ্যালেঞ্জ ছিল, বিরোধী দলনেতা স্থান–কাল জানিয়ে দিলে এই সব বিষয় নিয়ে মুখোমুখি বিতর্ক হতে পারে। তারপরই শুভেন্দুর দাবি, ‘আমার তোলা প্রশ্নের জবাব উনি দিতে পারেননি। অন্যত্র চলে গিয়েছেন। ওঁর সঙ্গে বসতে যাব কেন? ওঁর যিনি আলোকবর্তিকা, যাঁর বলে উনি বলীয়ান, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বড় যুদ্ধে বসা হয়ে গিয়েছে। মানুষ আমাকে নির্বাচিত করে পাঠিয়েছেন।’ এই নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? সারদা এবং নারদা কেলেঙ্কারিতে শুভেন্দু অধিকারীর জড়িত থাকার কথা মনে করিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক এবং মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, ‘একটি ভিডিয়ো–তে শুভেন্দুকে কাগজে মুড়িয়ে টাকা নিতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তা সত্বেও বিজেপি নেতাকে প্রশ্ন করার জন্য ক𝔉োনও কেন্দ্রಌীয় সংস্থা ডাকেনি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল থেকে বিতর্ক এড়াতে কতবার পলায়ন করেছেন। অভিষেক যে প্রশ্ন করছেন, তার জবাব ওঁর কাছে নেই। তাই এসব বলছেন। আর শয়নে–স্বপনে–ভাষণে অভিষেকের কথা ভাবছেন।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর আগে ইলিশ কিনতে গিয়ে ছ্যাঁ🔴কা, জোগান বাড়লেও এত দামꦍবৃদ্ধি কেন?
আর কী জানা যাচ্ছে? দীর্ঘ টুইট যুদ্ধের পর চ্যালেঞ্জ থেকে শুভেন্দু সরে যাওয়ায় অস্বস্তি বেড়েছে বঙ্গ–বিজেপির। আর তাই কেউ কোনও কথা বলছেন না। কুণাল ঘোষ এবং সাংসদ শান্তনু সেন কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে টার্গেট করছেন, তাঁর বিরুদ্ধে টুইট করছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কে বসতে ক্ষতি কী? টিভি চ্যানেলগুলি তা প্রচার করবে। বাংলার মানুষকে তো জানানো উচিত। ভয় কিসের? তিনি কেবল বিতর্ক থেকে পালানোর অজুহাত দিচ্ছেন।’ আর রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলেন, ‘সবাই ক্যামেরায় শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখেছে। সিবিআই এফআইআরে তার নাম রয়েছে। কন্টাই কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্ক, হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কাঁথি পৌরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সারদা মালিকের থেকে শুভেন্দু অধিকারী কত টাকা নিয়েছেন? তার বিবরণ দিয়ে একটি নথি জমা দিয়েছেন সুদীಞপ🤪্ত সেন। তাই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত।’