দুর্গাপুজোয় ভিড় কেমন হচ্ছে কলকাতায়♉? কত গাড়ি রাজপথে নেমে পড়েছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে একটা পরিসংখ্যান দিলেই। আর তাতে রাজ্যের মানুষের চোখ কপালে উঠতে পারে। সেটা হল—সোমবার সন্ধ্যেবেলায় ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে সাড়ে ১৫ হাজার গাড়ি যাতায়াত করেছে মা উড়ালপুল দিয়ে। মাত্র দু’ঘণ্টায় এই উড়ালপুল দিয়ে এত পরিমাণ গাড়ি গিয়েছে সায়েন্স সিটির দিকে। এজেসি বোস রোড–পিটিএস এবং এক্সাইড হয়ে গাড়িগুলি মা উড়ালপুলে দাপিয়ে বেড়িয়েছে দ্বিতীয়ার দিন থেকে। এখন তা আরও বাড়বে বলেই অনুমান করছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
আজ, চতুর্থী। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে পড়েছে মানুষের ঢল। সুতরাং মা উড়ালপুল দিয়ে আজ আরও বেশি গাড়ি যাত🅠ায়াত করবে বলে অনুমান পুলিশের। এই ভিড় দেখা গিয়েছিল শেষবার ২০১৮ সালে। সেবার প্রায় ১২ হাজার গাড়ি যাতায়াত করেছিল মা উড়ালপুল দিয়ে। সেই রেকর্ড এবার ভেঙে পড়ল ২০২৩ সালে। এই তথ্য হাতে আসার পর কড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবার ধাপা ক্রসিং থেকে পিটিএস সর্বত্র বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। যাতে ট্রাফিক জ্যাম না হয়। মঙ্গলবার মার্সিডিজ গাড়ির টায়ার আটকে যাওয়ায় মা উড়ালপুল ৪০ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতে এবার কড়া হাতে ট্রাফিক সামলাতে নামছে কলকাতা 🥃পুলিশ। আজ থেকে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হচ্ছে। ষষ্ঠীর দিন থেকে রাস্তায় ৮ হাজার পুলিশ কর্মী নামবে। মোট ৫১টি ওয়াচ টাওয়ার গড়ে তোলা হচ্ছে। এটা একদিকে ট্রাফিক ব্যবস্থা অন্যদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মজবুত করবে। শ্রীভূমির দুর্গাপুজো দেখতেই এভাবে মা উড়ালপুলে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে বলে অনুমান সকলের। আর তার জেরেই সল্টলেক, ভিআইপি রোডে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক বিভাগকে অ্যালার্ট করা হয়েছে। কসবা, এজেসি বোস রোড, ডিএ🌼ল খান রোড এবং মা উড়ালপুল থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে বাড়তি নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহরে রাতে কি মদ্যপ ♍চালক বাড়ছে? এবার 𝐆ট্রাফিক গার্ডগুলির কাছে তথ্য তলব করল লালবাজার
পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহেও গড়ে ৩,০৩২টি চার চাকার গাড়ি মা উড়ালপুল দিয়ে যাতায়াত করেছে। তিলজলার দিক থেকে এই পরিমাণ গাড়ি যাতায়াত করেছিল। আর ইএম বাইপাসের দিক থেকে ৫,০৭০ টি গাড়ি মা উড়ালপুল দিয়ে গিয়েছিল। মোট মোটরবাইক মা উড়ালপুল ব্যবহার করেছিল ৩,৪০০টি। তাও সন্ধ্যে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। সেটাই দ্বিতীয়ার দিন ৪০ শতাংশ বেড়ে গেল। এক ট্রাফিক পুলিশের কথায়, ‘এই পরিসংখ্যান আনুমানিকভাবে মিলেছে। তবে আরও বেশি করে দেখা হচ্ছে𓃲, কেন এই রুটে এত বেশি গাড়ি চলছে? ষষ্ঠী পর্যন্ত একটা পর্যালোচনা করা হবে।’