রাজ্যজুড়ে উন্নয়নের খতিয়ান এবার স্থান পাবে দুই মলাটের মধ্যে। রাজ্যের উন্নয়নের কর্মসূচি এবং পরিসংখ্যানের একটি পুস্তিকা প্রকাশ করতে চলেছে রাজ্য প্রশাসন, এমনই খবর সূত্রের। তবে শুধু এক-দু বছর নয়, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সূচনা লগ্ন অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প থেকে অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান কিংবা, ১০০ দিনের কাজের পরিস্থিতি; সমস্তই ধরা থাকবে এই পুস্তিকায়। প্রায় এক যুগের চালচিত্র ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে এই পুস্তিকার মাধ্যমে।নবান্নের নির্দেশে এবং সমস্ত দফতরের কর্মী আধিকারিকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই উদ্যোগ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত বাংলা-দিল্লি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক যুদ্ধের আবহে এই পুস্তিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা অনেকাংশেই বন্ধ করেছে দিল্লি সরকার। ১০০ দিনের কাজের টাকা আসছে না রাজ্যে, এই পরিস্থিতিতেও কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ চলছে এবং কাজে যুক্ত কর্মীরা অর্থ পাচ্ছেন, সেই সকল হিসেবও থাকবে দুই মলাটের মধ্যে। নবান্ন সূত্রে খবর পুস্তিকার নামকরণ হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই।কোথা থেকে এলো এই ভাবনা? বিশেষ সূত্র খবর, মাসখানেক আগে নবান্নে শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের আলোচনার সময় উঠে আসে এমন ভাবনা। কাজে হাত দিয়ে দেওয়া হয় দ্রুতই। ২০১১ থেকে ২০২৩-এর জুন পর্যন্ত রাজ্যের ৩৪৭ টি ব্লক এবং ৬৭ টি সাব ডিভিশনের উন্নয়নের চালচিত্রই তুলে ধরা হচ্ছে এই বইতে। জেনে নেওয়া যাক কী কী থাকছে এই পুস্তিকায়। পুস্তিকা তৈরির সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য দপ্তরের এক অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা রোগীর চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়। অন্তত ২.৫ কোটি পরিবারের সাড়ে দশ কোটি মানুষ উপকৃত। আবার কন্যাশ্রী দেশ-বিদেশে আলোচিত এই প্রকল্প। শুধুমাত্র কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মেয়েদের উচ্চশিক্ষা বেড়েছে। মাতৃমা প্রকল্প চালু হওয়ায় প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে।’অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া এবং গ্রামরক্ষী বাহিনী গড়ে তোলার ফলে কমেছে চোরাচালান। সীমান্ত অঞ্চলে পাচার কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান দেন তিনি। এভাবেই স্বাস্থ্য থেকে সুরক্ষ, শিক্ষা থেকে কর্মসংস্থান; সকল বিষয়ই তুলে ধরা হচ্ছে এই পুস্তিকায়।