মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পরেই মহানগরকে সাজাতে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসিয়েছিল তৎকালীন প𒆙ুরবোর্ড। তবে আস্তে আস্তে সেই বাতিস্তম্ভ শহর থেকে সরিয়ে ফেলা হবে বলেই ঠিক করেছে কলকাতা পুরসভা। তার পরিবর্তে বসানো হবে আধুনিক এক স্তম্ভের বাতি। শহরে ত্রিফলা বসানোর শুরু থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এবার এই বাতিস্তম্ভ সরিয়ে ফেলা নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
২০১২ সালে ২৭ কোটি টাকা খরচ করে মহানগরে বসানো হয়েছিল ১২ হাজারඣটি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ। তারপরে শুরু হয় বিতর্ক। বাতিস্তম্ভ কেনার ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ে। দরপত্র ছাড়াই বাজারদরের থেকে অনেক বেশি দামে বাতিস্তম্ভ কেনার অভিযোগ ওঠে। প্রথমে পুরসভার অডিটে সেই অনিয়ম ধরা পড়ে। কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের তদন্তেও ধরা পড়ে অনিয়ম। তাদের রিপোর্টেও বাতিস্তম্ভ কেনার ক্ষেত্রে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ সামনে আসে। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বাজারদর থেকে বেশি দামে বাতিস্তম্ভ কেনা হয়েছিল। যার জন্য অতিরিক্ত ৮ কোটি টাকা খর🐲চ করতে হয়েছিল পুরসভাকে।
এসবের পাশাপাশি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ চুরি এবং অনেক স্তম্ভের আলো না জ্বলারও সমস্যা সামনে আসে। পুরসভা সূত্রের খবর, নতুন বাতিল স্তম্ভ লাগানোর পরেই ১ হাজারটি বাতিস্তম্ভ চুরি হয়ে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রথম দু'বছরের মধ্যে ২০ শতাংশ বাতিস্তম্ভ চুরি হয়েছিল। পুরসভার দাবি, পুলিশকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এছাড়াও ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের ঢাকনা চুরির অভিযোগ ওঠে। তার পাশাপাশি বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েও একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছ⛄ে। পুরসভার মেয়র পারিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী জানিয়েছেন, ‘বর্ষার কারণে ৪ মাস ত্রিফলা বন্ধ ছিল। আবার চালু হয𒁃়েছে। তবে যেখানে বাতিস্তম্ভ খারাপ হয়েছে সেখানে নতুন এক স্তম্ভের বাতি লাগানো হবে।’