যেখানে দেখিবে ছাইবে, উড়াইয়া দেখো ভাই, পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।…. তবে এটা ঠিক অমূল্য রতন কি না তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে এগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। কলকাতার মাটির তলায় থাকা একের পর এক কামান এবার সামনে আসছে। এবার কলকাতা বিমানবন্দর চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুটি কামান। গঠনগতভাবে এই কামানদুটি কিছুটা অন্য়রকম। এই কামান দুটিকে নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে রাজ্য সরকার।তবে সম্প্রতি দমদম, স্ট্র্যান্ড রোড সহ কলকাতার একাধিক জায়গা থেকে কামান উদ্ধার করা হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় কলকাতা বিমানবন্দর। দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত খবর অনুসারে ১৫ ও ১৬ নম্বর হ্যাঙ্গারের পাশে এই দুটি কামানের সন্ধান মিলেছে। এদিকে একটা সময় সেখানে এয়ার ইন্ডিয়া তাদের বিমান রাখত। কিন্তু বর্তমানে সেই জায়গাটি তারা ব্যবহার করে না। সেখান থেকেই উদ্ধার হল যমজ বিমান।এদিকে সেই জোড়া কামান সংরক্ষণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। অ্য়াডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল ও বাংলার অফিসিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায় এনিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। দীর্ঘ বছর ধরে মাটির নীচে এই কামানের কিছুটা অংশ ছিল। সেই কামানদুটিকে আপাতত বের করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা মডেলটি বিরল ধরনের। এই কামান ও গোলাকে সংরক্ষণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সংগ্রহশালায় একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এটি রাখার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই কামান রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দিতে বিশেষ আপত্তি নেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া এনিয়ে সবুজ সংকেত দিলেই এই কামান চলে যাবে রাজ্য সরকারের হাতে।তবে সম্প্রতি দমদম থেকেও কামান উদ্ধার করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে ৯টি কামান উদ্ধার করা হয়েছে। হুগলি জেলার চুঁচুড়া থেকেও দুটি কামান উদ্ধার করা হয়েছে। এই কামানগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এই কামানের ইতিহাস পুরোপুরি জানতে পারলে বাংলার পুরানো দিনের না জানা অনেক কথাই সামনে আসতে পারে।