রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। পজিটিভিটির হারও বেশি। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ দেশে আছড়ে পড়েছে। কিন্তু🗹 তা সত্ত্বেও এই রাজ্যের মানুষের মধ্যে করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে। ফলে এই রাজ্যে মজুত থাকা টিকা অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর 🧸সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। রাস্তাঘাটে অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। ♚টিকা ঠিকভাবে না নেওয়ার কারণে রাজ্যে মজুত অনেক টিকার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেক টিকা রয়েছে, যা কিছু সময়ের মধ্যেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় বিভিন্ন স্টোরে মজুত থাকা যে সব টিকার মেয়াদ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, সেই সব টিকাকে বাগবাজারে ভ্যাকসিন স্টোরে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই বাগবাজারের ভ্যাকসিন স্টোর থেকে চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিন বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে ১০ লাখ ডোজ পাঠানো হয়েছে পটনায়। আগামীকাল হায়দরাবাদে আড়াই লাখ ডোজ আগাম🐭ীকাল পাঠানো হবে।
কেন্দ্রের তরফে বুস্টার ডোজকে বেসরকারি সংস্থার 🍸মাধ্যমে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এর ফলে অনেক দাম দিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। যেভাবে রাজ্যে মানুষের মধ্যে বুস্টার ডোজ না নেওয়ার ব্যাপারে অনীহা বাড়ছে, সেই কথা মাথায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের তরফে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এদিকে রাজ্যে ভ্যাকসিন না নেওয়ার প্রবণতাকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা জানান, ‘ভ্যাকসিন না নেওয়ার প্রবণতা ঠিক নয়। এমনটা হতেই পারে করোনা নতুন রূপে ভয়াবহ আকার নিতে পারে। এখন করোনা আক্রান্তদের উপসর্গ ভয়াবহ হচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু অবহেলা করা উচিত নয়।’