সংঘাত চরমে। রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের বিরোধ এবার চরম আকার ধারণ করল। আর তা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল নবান্ন। ফলে এতদিন যা ছিল ঠাণ্ডা লড়াই এবার তা প্রকাশ্যে এসে গেল। নিজের যুক্তিতে রাজভবন অনড় থাক🌳ায় বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কাল থেকেই রাজ্💙যপালের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। সেটা ছিল কোল্ড ওয়ার। এবার সম্মুখসমরে রাজভবন–নবান্ন যুদ্ধ চলে এল। ফলে এখন আর রাজ্যপাল জেন্টিলম্যান থাকল না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বাদল অধিব🐻েশন নিয়ে রাজ্যপাল হঠাৎ বেঁকে বসায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের স্থান পাল্টে গেল। এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে রাজ্যপালকে বার্তা দিয়ে দিল নবান্ন। আগামী ২৪ জুলাই থেকে রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তাই রাজভবনে ফাইল পাঠিয়েছিল পরিষদীয় দফতর। কিন্তু রাজ্যপাল ফাইলে সই করেননি। ফলে রাজ্যপালের অনুমোদন না মেলায় শুরু করা যাবে না বিধানসভার বাদল অধিবেশন। বরং রাজভবন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন এত কম সময়ের নোটিশে বিধানসভার বাদল অধিবেশন ডাকা হচ্ছে? তারপর পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার রাজভবনে ডাকেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী শহরে ছিলেন না। তখন রাজভবন থেকে জানানো হয়, মন্ত্রী নিজে না আসতে পারলে, আসতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। বাদল অধিবেশন নিয়ে মৌখিক অনুমোদন না পেয়ে মুখ্যসচিব রাজভবনের পথে যাননি।
অন্যদিকে রাজ্যপালের এই প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি নয় নবান্ন। কারণ বাদল অধিবেশন প্রত্যেক বছর হয়। সেই নিয়ম মেনেই করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। সেখানে বাগড়া দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। বাদল অধিবেশনের দিন বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠক হওয়ার কথা 💧ছিল। তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যপাল প্রশ্ন তুলে ফাইলে অনুমোদন না দেওয়ায় তা নিয়ে যাওয়া হয় নবান্নে। এটাই চরম পদক্ষেপ। যা দিয়ে রাজ্য🤪পালকে বার্তা দেওয়া হল। আর সেটা এখন হজম করতে হচ্ছে রাজভবনের বাসিন্দাকে। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে মন্ত্রিসভার বৈঠক নবান্নে করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘♏༒আমি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অজানা লোক’, অভিমানে শহিদ সমাবেশে যাচ্ছেন না করিম সাহেব
তারপর ঠিক কী ঘটল? মন্ত্রিসভার বৈঠক বিধানসভা থেকে নবান্নে নিয়ে গিয়ে কড়া বার্তা রাজ্যপালকে দেওয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু বাদল অধি🧸বেশন 🐓কবে হবে? এই প্রশ্ন তো থেকেই গেল। কারণ পরিষদীয় নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন শুরু করা যায় না। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন না পেলে বিধানসভার বাদল অধিবেশন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল। রাজ্যপাল বাদল অধিবেশন কেন এত কম সময়ের নোটিশে ডাকা হল? এই প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে বাদল অধিবেশন কি ভেস্তে দিতে চান রাজ্যপাল? এটাও এখন জিজ্ঞাস্য।