২১ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা যাবে ১ মার্চ। কারণ প্রাপকের সংখ্যা বাড়ায় তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস নিয়ে সংযোগ করতে হবে। তাতে একটু বাড়তি সময় লাগে। তাই তারিখ পিছিয়েছে। আর এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বরাদ্দ আসে কিনা তার জন্য অপেক্ষা করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সেটা যদি না ঘটে এবং বাংলাকে ▨বঞ্চনার কাজ অব্যাহত থাকে তাহলে ১ মে থেকে রাজ্য সরকারই তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করবে। বিধানসভায় এই কথা বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব🌠ন্দ্যোপাধ্যায়। সিএজি রিপোর্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্যে ভরা বলেও দাবি তাঁর।
এদিকে আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। তার বিরুদ্ধেও আবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ওরা যদি এপ্রিল মাসের মধ্যে টাকা না দেয়, তাহলে আমরাই ১১ লক্ষ বাড়ি প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১ মে থেকে টাকা পাঠানো শুরু করব।’ বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ৩৯ কোটি কর্মদিবস তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বরাদ্দ দেওয়া ꦯনা হলেও ৪৩ দিনের বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘টাকা না পাওয়া গেলে ১ মে থেকে ১১ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করা হবে নিজেদের অর্থেই।’
অন্যদিকে বারবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল বাংলায় এসেছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালিকা মিলিয়ে দেখেছেন তাঁরা। তারপর যে তালিকা এবং রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে দেওয়া হয়েছে তাতে বিশেষ গড়মিল নেই। সেই দাবিও মুখ্যমন্ত্রী করেছিলেন আরামবাগের সভা থেকে। কিন্তু তারপরও মেলেনি আবাস ♏যোজনার টাকা। এই বিষয়ে বিধানসভায় দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী, ‘একশো দিন, আবাস, সড়ক যোজনায় রাজ্য এক নম্বরে ছিল। একশো দিনের কাজে ৭২ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে ৩০১ কোটি ১৪ লক্ষের বেশি শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছিল। আবাসে ৪৭ লক্ষ ৬২ হাজার বাড়ি তৈরি করেছে রাজ্য। কেন্দ্র সব🌱 টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। কেমন করে একটা সরকার চলছে বুঝতে পারছেন?’ প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কলকাতা শহꦉরে প্রথম সরকারি সিএনজি চালিত ৬০টি বাস নামছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে জোর
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতি নিয়ে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় অর্থ বিল নিয়ে আল🐈োচনার সময় তাঁর কটাক্ষ, ‘কেন্দ্রে একটি জনবিরোধী বাজেট হয়েছে। খাদ্য ও সারে ভর্ত🍸ুকি কমিয়ে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কিছুই করেনি। শুধু মন কি বাতে মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ওদের ভরসা কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বিএসএফ। কেন্দ্রে আসলে দানবের মতো আচরণ করা একটা কালো সরকার চলছে। তাই বলছি, ওটা রাবণের সরকার, আর নেই দরকার। কোনও ইউসি শংসাপত্র বকেয়া নেই। পুরোটা মিথ্যাচার এবং অনাচার। সিএজিকে নিয়েও রাজনীতি করছে।’