আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশ হয় বিধানসভায়। আর সেখানে যে একাধিক সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এবং মানুষের স্বার্থে জনমোহিনী বা꧋জেট পেশ করা হয়েছে তাতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। কারণ একশো দিনের কাজের টাকা তো দেওয়া হবেই। এবার আবাস যোজনার বাড়ির ক্ষেত্রেও এগিয়ে এল রাজ্য সরকার। ফলে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। কারণ যা সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়ার দায়িত্ব তা একটা রাজ্য সরকার পালন করছে। এবারের রাজ্য বাজেটেও তা দেখা গেল। আবাস যোজনা নিয়ে বড় পদক্ষেপ করার কথা ঘোষণা হয়েছে। এই ঘোষণা যদি কার্যকর হয় তাহলে প্রকল্পের আওতায় থাকা ১১ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাজেটে আলাদা করে আবাস যোজনার জন্য ভাবা হয়েছে। শুধু কেন্দ্রীয় সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় তার জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে আবাস যোজনার টাকাও এখন বাংলার মানুষ পাননি। এই নিয়েও আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বারবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এসেও আবাস যোজনার টাকা মেলেনি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন বাংলার প্রান্তিক মানুষজন। কেন্দ্রীয় সরকার স্বপ্ন ফেরি করেছিল মাথার ছাদের। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনায় টাকা পাঠাচ্ছে কিনা তা দ𝔉েখার জন্য আর এক মাস অপেক্ষা করা হবে। তারপরও যদি টাকা না আসে তাহলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মে মাসের ১ তারিখ থেকে আবাস যোজনার জন্য টাকা দেওয়া হবে।’
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে বাড়ি না পাওয়া রাজ্যবাসীকে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এই প্রসঙ্গে আগেও সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে কোনও টাকাই দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বারবার বলা সত্ত্বেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ক🎐োনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এবা🥃র বাজেট ঘোষণার দিনে আবাস যোজনা নিয়ে বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আগামী মাসে বাংলার ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার পরিবারকে বাড়ি বানানোর জন্য নগদ টাকা দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও পড়ুন: ‘বাংলা দেখিয়ে দি🐼য়েছে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয়’💯, বাজেট নিয়ে বিজেপিকে তোপ মমতার
এছাড়া সাংবাদিক বৈঠকের পরতে পরতে বিজেপিকে ধাক্কা 🐷দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘১০০ দিনের কাজ করে যাঁরা মজুরি পাননি, সেই ২১ লক্ষ কর্মীকে টাকা দেবে রাজ্য সরকার। ১৫৭টা দল পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এটাকে অনুমোদন দিয়েছিল। তাঁদের কাছে চিঠিও চলে গিয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত সে টাকা তারা পায়নি। আমরা বাজেটে সেই সংস্থান রেখেছি। আমরা একমাস পর্যন্ত অপেক্ষা করব। তার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার যদি টাকা ছাড়ে, ভাল। যদি না ছাড়ে, তাহলে এই ১১ লক্ষ বাড়ির টাকা আমরা ছাড়ব।’