রেশন দুর্নীতি নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। আজ, বুধবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে 🌳বামফ্রন্ট সরকারের দুর্নীতি তিনি তুলে ধরেন। ২০০৭ সালে বামফ্রন্টের জমানায় রেশন দুর্নীতি শুরু হয়। সে কথাও শোনা যায় তাঁর মুখে। সেখানে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এই কথা তুলে ধরার পাশাপাশি রাজনৈতিক স্বার্থে একের পর এক গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর রেশন দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে এই প্রথম মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে বিজেপিরও যে দুর্নীতি আছে সেটি ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েܫছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, ‘২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস যখন রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তখন ১ কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড ছিল। আমাদের সরকার সেই ১ কোটি কার্ড বাতিল করে। রেশন কার্ডের ডিজিটালকরণ ঘটিয়েছি আমরা। যার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার শংসাপত্র পাঠিয়েছে। সবাইকে গ্রেফতার করে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ভেস্তে দেবে ভাবছে? সব মন্ত্রীকে কিছু না কিছু বলে গ্রেফতার করবে? কিছু প্রমাণই হল না, আপনারা চোর বানিয়ে দিলেন! একবারও ভাবছেন, তাঁর পরিবার–পরিজনের কী অবস্থা? যাঁরা এসব অভিযোগ তুলছেন, তাঁদের নিজেদের কত বেনামি সম্পত্তি আছে, সে কি আমরা জানি না।’
অন্যদিকে সরাসরি মন্ত্রীর নাম না নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, গ্রেফতার হওয়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাঁর পাশেই আছেন। তাই তাঁর কথায়, ‘দোষ প্রমাণের আগেই গ্রেফতার। কিছুই প্রমাণ হল না অথচ চোর বানিয়ে দিলেন। সব মিনিস্টারকে অ্যারেস্ট করছে কিছু না কিছু করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে কাজই করতে দেবে না। একতরফা একটা পার্টিকে দোষ দিয়ে যাচ্ছেন। নামগুলি জানা আছে। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে আমরা কিছু করি না। তদন্ত তো আমরাও করতে পারি। আমরা বলেছিলাম, বদলা নয় বদল চাই। তবে যদি কেউ একতরফাভাবে কিছু করে যায়, তাহলে লেবু কচলাতে কচলাতে তেতো হয়ে যায়। আকাশছোঁয়া দ🌳ুর্নীতির উপর বসে থেকে কেউ যদি অন্যকে টার্গেট করে, তাহলে তার জবাব দেওয়ার জন্য মানুষ তৈরি।’
আরও পড়ুন: ‘ইনভেস্টিগেশন করার অ🦂ধিকার আমাদেরও আছে’, বিজেওপিকে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? কেন্দ্রীয় এজেন্সি সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও ভায়োলেট করছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘দোষ প্রমাণের আগেই অ্যারেস্ট করে নিচ্ছে। একটা লোককে কিছুܫ প্রমাণ হওয়ার আগেই চোর বলে দেগে দিচ্ছে। আজ তুমি ক্ষমতায় আছ। দম্ভে অনেক কাজ করবে। একদিন তুমি ক্ষমতায় থাকবে না। সব ধরা পড়বে। সব বেরিয়ে পড়বে। কেঁচো খুঁড়লে কিন্তু সাবধান। বামফ্রন্টের লোকেরা তো সব জায়গায় আছে। আমি তো কারও চাকরি খাইনি। কী করে চাকরি পেয়েছে কেউ জানে না। একজনের নামে আরেকজন চাকরি করছে। যত দোষ, নন্দ ঘোষ। কত চিটফান্ড তৈরি হয়েছে বাম আমলে। একটারও বিচার হয়েছে? বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে।’