বারবার চোট পেয়েছেন তিনি। প্রতিকূল পরিস্থিতি তাঁর সামনে এসে দাঁড়িয়েছিল নানা সময়ে। কিন্তু তাতে কাজ আটকায়নি। কর্মবিমুখ হননি তিনি। আঘাত নিয়ে ছুটে গিয়েছেন মানুষের কাজ করতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কালীঘাটের বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় বড় রকমের চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ হননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ওই অবস্থাতেই তাꦏঁকে সোমবার দেখা যায়, গার্ডেনরিচের বিপর্যয়ের ঘটনাস্থলে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে হাজির হতে। আর আজ, মঙ্গলবার নবান্নেও ওই অবস্থাতেই গেলেন তিনি। মানুষের কাজ শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে করে যাবেন বলে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার মাথায় বাড়িতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কপালে ৩টি সেলাই পড়ে। আক নাকে ১টি সেলাই পড়ে। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা হওয়ার পর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর থেকে সাময়িক বিশ্রামেই ছিলেন। চিকিৎসকরা বাড়িতে এসে দেখে যান তাঁকে। আর তিনি এখন মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে থাকার 🐠পরামর্শ দিয়েছিল এসএসকেএম। কিন্তু তিনি তা না শুনে বাড়ি ফিরে যান। গার্ডেনরিচের ঘটনা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই 🐷ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আহতদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালেও যান তিনি। আর আজ, মঙ্গলবার নবান্নে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 𒈔থিম 🌸সংয়ের সঙ্গে থাকছে শর্ট ফিল্মও, যাদবপুর কেন্দ্রের জমজমাট প্রচারে সিপিএমের সৃজন
অন্যদিকে আজ যে তিনি এভাবে নবান্নে পৌঁছে যাবেন সেটা অনেকেই জানতেন না। রাস্তায় যখন জনগণ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখলেন তখন অনেকের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে নবান্নে যাচ্ছেন দেখে বাংলার মানুষজনের বক্তব্য, একেই বলে কাজের তাগিদ। মাথায় চোট নিয়েও কাজ করতে চলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে চোট পাওয়ার ছবি প্রথম দেওয়া হয়েছিল। রক্তাক্ত সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছিল বꦯাংলা। আবার আজ দেখলেন বাংলার মানুষজন, মাথায় আঘাত, ব্যথা। যন্ত্রণা নিয়েও মানুষের কাজ করতে বেরিয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি শারীরিক ব্যথা। তাঁর ইচ্ছাশক্তির কাছে তাও পরাজিত হল।