আজ কালীপুজো। আলোর রোশনাই আর উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে বাঙালি। একইসঙ্গে পালিত হচ্ছে দীপাবলিও। এই উৎসবের আবহে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাধিক ভাষায় কালীপুজোর শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে রাজ্য 🗹সরকার। তাঁদের ফোনে সেই বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। আর এমন শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে খুশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আবার একটা অংশ খুশি হতে পারেননি। কারণ তাঁদের দাবি মহার্ঘভাতা বা ডিএ। তাই এই শুভেচ্ছা বার্তা পাওয়ার পরও ডিএ আন্দোলনকারীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ রয়েই গিয়েছে। একটাই প্রশ্ন তাঁদের, কব൲ে মিলবে ডিএ?
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রাখায় ডিএ দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বেশি ছুটি দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ পেইড লিভ। ছুটি পাচ্ছেন তাঁরা অথচ টাকা কাটা যাচ্ছে না। এভাবে একটা বিকল্প রাস্তা খোলা হয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মীরা সেই ছুটি নেওয়ার পরও ডিএ’র জন্য আন্দোলন করছেন। বিধানসভায় সম্প্রতি কিছুটা ডিএ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি অꦍর্থবর্ষে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ তিন শতাংশ বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছেন। তারপরও কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। আইনি লড়াই করছেন। আর তৈরি হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
অন্যদিকে আজ রাজ্য সরকারের এই নানা ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো নিয়ে তোপ দেগেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে। আর ডিএ আন্দোলনকারীদের একাংশের বক্তব্য, ‘পাঁচটি ভাষায় শুভেচ্ছা বার্তা সরকারি কর্মচারীরা পেয়েছেন। এই অর্থ কোথা থেকে আসছে যখন💃 সরকারের কাছে টাকা নেই?’ সুযোগ বুঝে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। আর এই ইস্যুতে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সরকারকে কটাক্ষ করে 🍸বলেন, ‘এই সরকার খেলা–মেলা–মোচ্ছব নিয়ে থাকে। এদের কাছে ডিএ প্রত্যাশা করা উচিত নয়। এদের কাছে মানবিকতা নেই। অনুদান নির্ভর রাজনীতি চলছে।’
আরও পড়ুন: ‘মা সেই প্রার🅺্থনা মেনে নিয়েছেন’, তারাপীঠে পুজো দিয়ে🌼 মনস্কামনার কথা জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ
তবে ডিএ বা মহার্ঘভাতা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেই আগে নিশানা করেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে। বিপুল টাকা আটকে রয়েছে। আগে সেই টাকা মেটাক কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবিক দৃষ্টি দিয়ে সরকারি কর্মীদের বিষয়টি দেখছেন।’ কেন্দ্রীয় হারে ম🔯হার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আইনি লড়াইও লড়েছেন তাঁরা। এই ডিএ মামলജা আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।