চলতি মরশুমে টানা শীত উপভোগ করতে পারেননি বঙ্গবাসী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে তাপমাত্রার ওঠআ-নামা লেগেই ছিল গোটা ডিসেম্বর জুড়ে। জানুয়ারিতেও একই অবস্থা। মাঘের শুরুতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পরার একটা সম্ভাবনা দেখা দিলেও শীতের সেই ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বরং ফের একবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ভ্রূকুটি দেখা দিয়েছে বঙ্গে। আর এর জেরে রবিবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। এই সময় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ফসল।পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৪ ডিগ্রি এবং ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে। শুক্রবার ভোরে কুয়াশা থাকলেও পরে রোদ উঠবে। এর আগে বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম৷আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা মূলত উত্তর পশ্চিম দিকে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার দু-এক জায়গায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও বৃষ্টি কমবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে ফের আবহাওয়া পরিষ্কার হবে, জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিক৷ আগামী ৪ থেকে ৫ দিন রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ডিগ্রি বেড়ে যাবে। বৃষ্টির ভ্রূকুটি কাটলে ২৬ জানুয়ারি থেকে রাতের তাপমাত্রা কমবে, ফিরবে ঠান্ডার আমেজ। এদিকে আগামী দু'দিন উত্তরের জেলাগুলো বিশেষত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ২২ থেকে ২৪ জানুয়ারি এই জেলাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বাড়বে। ২২ জানুয়ারি শনিবার এই জেলাগুলোয় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।