হাতে আর একসপ্তাহ বাকি। তারপরই ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে দুয়ারে সরকার শিবির। সেখানে এবার বিশেষ আকর্ষণের বিষয় পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা। আর পরে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো। ইতিমধ্যেই এমএসএমই’র এক সভায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বাজি, মৎস্য, তাঁত, কৃষি, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা পাবে। আর আহত হলে পাবেন ৫০ হাজার টাকা। বিধানসভায় নতুন বিল আনা হচ্ছে, শ্রমিক কল্যাণ আইন নিয়ে। এবার নতুন ঘোষণা পরিযায়ী শ্রমিক🃏দের জন্য বিমা করাবে রাজ্য সরকার।
বিষয়টি ঠিক কী হবে? এদিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে বাংলার মানুষের বিমা আগেই করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় –এর সরকার। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবনের বিমা করতে চলেছে তাঁর সরকার। এই বিমা করা থাকলে পরিযায়ী শ্রমিকদের কেউ মারা গেলে তাঁদের পরিবার সেই টাকা পাবে। বাজি, মৎস্য ভেড়ি, ইটভাটার সংগঠনকে দিয়েই শ্রমিকদের বিমা করা হবে। এই কথা প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে শ্রমিকদের মধ্যে। পরিযায়ী শ্রমিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চর্মশিল্পে আড়াই লক্ষ লোক কাজ করে। সেখানে আরও ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প হবে। সুতরাং আরও পাঁচ লক্ষ কর্মসংস্থান ꦡহবে। দেউচা পাঁচামিতে প্রত্যক্ষভাবে এক লক্ষ লোকের চাকরি হবে। পরোক্ষভাবে আরও কয়েক লক্ষ চাকরি হবে। জেলার মানুষের আয় বাড়বে। তাই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের তালিকা তৈ♈রি হবে।
আর কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? অন্যদিকে এদিন ছোট ব্যবসায়ীদের থেকে অবৈধভাবে টাকা তোলার উপর রাশ টেনে দেন মুখ্যমন্ত্র𝔉ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারি পরিচয়পত্র দিতে হবে। তাঁদের থেকে পুলিশ কোনও টাকা আদায় করতে পারবে না। কেউ আলাদা কর নিতে পারবে না। এমন কাজ এক শতাংশ পুলিশ করে, বদনাম হয় একশো শতাংশের। টাকা নিলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে অভিযোগ করুন। আপনার নাম গোপন থাকবে। ভয়ের𝓰 কারণ নেই।’ সেপ্টেম্বর মাসে স্পেন এবং দুবাই যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। সেখান থেকে বিদেশি লগ্নি রাজ্যের জন্য নিয়ে আসতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কাজ শুরু করেছেন অমিত মিত্র।
আরও পড়ুন: ‘কেউ টাকা নিলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে অভিযোগ করবেন’,🐠 🍌পুলিশকে কড়া ধমক মমতার
কেমন ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর? এই বিষয়ে নানা কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমরা ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড করেছি।ꦯ ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ঋণের গ্যারান্টার সরকারই। পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ না নিয়ে বাইরে যাচ্ছেন কেন? একটু বেশি টাকা দিয়ে আপনাদের নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনার জীবনের নিরাপত্তা নেই। এক, দুই, তিন লক্ষ টাকায় দোকান তৈরি হতে পারে। চায়ের দোকানে কত টাকা লাগে। চা–বিস্কুট, ঘুগনি–পাউরুটি, চপ বানিয়ে দিলেন। দোকান জমিয়ে চলবে। বাংলার অর্থনীতি অনেক এগিয়ে গিয়েছে।’