মৃদু করোনা উপসর্গ এবং উপসর্গহীন রোগীদের জন্য বেসরকারী হাসপাতালগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ‘স্যাটেলাইট হসপিটাল ফেসিলিটি’ চালু করতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই সমস্ত হাসপাতালে মূলত রোগীদের চিকিৎসা হবে।কলকাতার মতো শহরাঞ্চল, যেখানে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে নির্দিষ্ট কোভিড হাসপাতালগুলিতে সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের জন্য শয্যা ফাঁকা রাখার উদ্দেশে নতুন পরিকল্পনা করল রাজ্য প্রশাসন। এই ব্যবস্থায় মূল কোভিড হাসপাতাল সংলগ্ন কোনও ভবনে মৃদু উপসর্গ ও আপাত উপসর্গহীন রোগীদের সমস্ত করোনাবিধি মেনেই ভরতি করা হবে। সেখানে চিকিৎসকদের নজরদারিতে এই সমস্ত রোগীদের রাখা হবে। কোনও রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি সংকটজনক হলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে মূল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, এই অভিনব পরিষেবা সম্ভবত ইতিপূর্বে ভারতের কোনও রাজ্যে শুরু হয়নি। তবে এই পরিষেবা অলাভজনক হিসেবে দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর থেকে নেওয়া হবে শুধুমাত্র ঘরভাড়া, চিকিৎসকদের ফি ও নার্সদের চার্জ। আপাতত তিন মাসের জন্য এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে যার মেয়াদ প্রয়োজনে বাড়ানো হতে পারে। চলতি সপ্তাহের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ৬,০০০ এর বেশি শয্যাযুক্ত ১০৪টি 'সেফ হোম সেন্টার' চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন। এই কেন্দ্রগুলিতে মৃদু ও আপাত উপসর্গহীন রোগীদের চিকিৎসা হবে। সপ্তাহে এক বা দুই বার চিকিৎসকরা সেখানে রোগীদের পরীক্ষা করবেন। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহূর্তে মোট ৭৭টি কোভিড হাসপাতালে ১০,৩১৭ শয্যা করোনা রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করেছে প্রশাসন। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অন্যান্য জেলায় অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা পড়ে থাকলেও কলকাতায় ৪৫% এর বেশি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। কিছু হাসপাতালে দশ শতাংশের কম শয্যা ফাঁকা রয়েছে।’