কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের জেরে স🔥দ্য চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের। কিন্তু তাঁদের চাকরি থাকাকালীনই মাধ্যমিকের খাতা দেখেছেন তাঁরা। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষক–শিক্ষিকারা। কলকাতা হাইকোর্ট ২৫,৭৫৩ জনের ২০১৬ সালের প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছে। তার মধ্যে বহু শিক্ষক আছেন, যাঁদের ‘অযোগ্য’ বলে দাগিয়ে দিয়েছে সিবিআই। স্কুল সার্ভিস কমিশন ত𒀰াতে সহমত পোষণ করেছে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা তাঁরাও তো দেখেছেন। সুতরাং অযোগ্য পরীক্ষক খাতা দেখলেন কেমন করে? উঠছে প্রশ্ন। আজ, বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হতেই উঠেছে প্রশ্ন।
এদিকে ২০১৬ সালের প্যানেলের পরীক্ষার পর সেখান থেকে ২০১৯ সালে চাকরি পান প্যানেলভুক্ত শিক্ষক–অশিক্ষক কর্মীরা। যে প্যানেল কলকাতা হাইকোর্ট বাতিল করে দিয়েছে। ওই বাতিল প্যানেলের বহু পরীক্ষকই এই বছরের মাধ্যমিকের খাতা দেখেছেন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও শিক্ষকের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দু’বছর হয়ে গেলে তিনি খাতা দেখতে পারেন। অর্থাৎ খাতা দেখার জন্য যোগ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, ‘এই বিষয়টি আমরাꦺ কিছু জানি না। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষকদের তালিকা স্কুলের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীর 🔯গাড়ি থেকে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার, ✅মালদায় বাজেয়াপ্ত করল নির্বাচন কমিশন
অন্যদিকে এই কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্ꦡয সরকার। সর্বোচ্চ আদালতে পৃথকভাবে মামলা করেছে শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চাকরি যাওয়ার সংখ্যাটা ২৫,৭৫৩ জনের। সুপ্রিম কোর্ট এসএসসি মামলায় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। রাজ্যের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, যোগ্য–অযোগ্যদের বাছাই করা হবে কী উপায়ে? যোগ্য–অযোগ্যদের বাছাই পর্বে কোনও ভুল হবে না, সেটার কী নিশ্চয়তা? প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ‘আপনারা চাকরি বাতিলের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। অথচ কোনও আসল ওএমআর শিট নেই। কোন তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য এবং অযোগ্যদের বাছাই করছেন?’