এবার পুরভোটে ঘাসফুল শিবিরের দ্বিতীয় প্রজন্মের প্রার্থীদের প্রতি বাংলার বিশেষ নজর ছিল। ভোট পরীক্ষায় তাঁরা কতটা উতরে যাবেন তা নিয়ে আগ্রহ ছিল মানুষের। তবে ভোটের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, নেতা মন্ত্রীদের পুত্র, কন্য়ারা যথেষ্ট ভালো ফলই করেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ আখতার। তাঁর পুত্র ফৈয়াজ আহমেদ দাঁড়িয়েছিলেন ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই ওয়ার্ডে জিতে গেলেন মন্ত্রীপুত্র ফৈয়াজ। ৬২, ০৪৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। দলের প্রত্যাশা পূরণ করে জয় হাসিল করলেন জাভেদ পুত্র। এই ওয়ার্ডের ১৫ বছর ধরে কাউন্সিলর ছিলেন তাঁর বাবা। তাঁর মা কাউন্সিলর ছিলেন ৫ বছর। আর সেই ওয়ার্ড থেকেই জিতে গেলেন ফৈয়াজ। অস্ট্রেলিয়া থেকে ম্যানেজমেন্টের ডিগ্রি রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এবারের ভোটে বস্তিবাসীদের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। আর সেই কৌশলই কাজে দিয়েছে অনেকটাই। এর সঙ্গে বাবার অবদান ও স্থানীয় দলীয় কর্মীদের সহায়তা তো আছেই। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জয়ের পেছনে কাজ করেছে এমন নানা ফ্যাক্টর। তবে শুধু ফৈয়াজ আহমেদ খানই নন, জয় পেয়েছেন অপর মন্ত্রী পুত্র সৌরভ ভট্টাচার্য। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুত্র সৌরভ এবার ৮৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২০১৫ সালের পুরভোটে এই ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিলেন সদ্য প্রয়াত বিজেপির তিস্তা দাস। তবে এর পর থেকেই এই ওয়ার্ডে বিজেপির অন্দরে কার্যত ঘরোয়া কোন্দল মাথাচাড়া দেয়। আর কার্যত তারই ফসল ঘরে তুলল তৃণমূল।