দেড়শো গ্রাম বীর্য থেকে ভয়েস কল- আরজি করের ধর্ষ꧒ণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে একাধিক গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকী ১৫০ গ্রাম বীর্যের ঘটনা নিয়ে তো সুপ্রিম কোর্টও উষ্মাপ্রকাশ করেছিল। আর সেইসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলার সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেল। সংবাদমাধ্যম 'নিউজ দ্য ট্রুথ'-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘জনতার চার্জশিট’ কর্মসূচির মধ্যেই ওই মহিলা সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। আর সেইসময় তিনি এমন কয়েকটি মন্তব্য করেন, যা নিয়ে ইতিমধ্যে উলটো সুর শোনা গিয়েছে তদন্ত রিপোর্টে। আর সেই পরিস্থিতিতে মহিলা যা বললেন, সেটা আদতে ‘গুজব’ বলে দাবি করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। কিন্তু মহিলা এমন কী বলেছেন যে সেই তাঁর মন্তব্যকে ‘গুজব’ বলা হচ্ছে?
মহিলা ও সাংবাদিকের সাক্ষাৎকারের কথোপকথনের অংশবিশেষ
মহিলা: যে অপরাধটা হয়েছে, সেটা একটা সংঘটিত অপরাধ। এটা প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা। মেয়েটার হাতের লেখা দেখেছিলাম, ক♒ত সুন্দর। এরকম নৃশংসভাবে তাকে মারা হল? এর থেকে লজ্জাজনক আর ক🦄িছু নেই। একটা মানুষ ওরকম পা ফাঁক করে মারতে পারে? পা চিরে মারতে পারে? পেলভিক গার্ডেল ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
সাংবাদিক: কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তো ওরকম লেখা নেই।
মহিলা: সেটাই তো বলছি। পুরো বিষয়টাই বিকৃত করা হয়েছে।
সাংবাদিক: পা চিরে দেওয়ার তথ্য বা আপনি যেমন বলছেন,🦩 সেটা পোস্টমর♊্টেম রিপোর্টে নেই।
মহিলা: পোস্টমর্টেমে নেই! সেটা তো ওরাই (রাজ্য সরকার) বানিয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট তো ওখানেই হয়েছে।🐠 পোস্টমর্টেম তো সাধারণত….রাতে কখনও পোস্টমর্টেম হয়?
সাংবাদিক: পোস্টমর্টেমের ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়েছে। চণ্ডীগড় এবং নয়াদিল্লির সেন্ট্রাল ফরেন্সিক স🎉ায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠিয়ে সব টেস্ট করা হয়েছে।
মহিলা: আমি বলতে পারব না।
সাংবাদিক: ওখꦜানকার ডাক্তাররা বলছেন, বাইরের ড൩াক্তাররা বলছেন, বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড বলছে যে কোনও অসঙ্গতি নেই।
মহিলা: বাবা-মা তো মৃতদেহ সৎকারই করতে পারল না।
সাংবাদিক: সৎকার মা-বাবাই করেছেন।
মহিলা: করেনি। বলছে তো। তাই শুনলাম তো।
মহিলা: সৎকার করেছে মা-বাবা?
সাংবাদিক: মা-বাবা করেছেন।
মহিলা: তাহলে আপনি সেটা বলছেন। এটা আমি জানি না।
‘গুজব দাবানলের আগুনের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়’
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক সমর্থক বলেন, ‘গুজব দাবানলের আগুনের চেয়েও দ্রুত ছড়ায়... তথাকথিত এলিট,শিক্ষিত ব🐷াঙালি গুজব ও সত্যের পার্থক্য করতে শেখেনি। চোখের সামনে একটা প্রজন্ম স্রেফ পুঁথিগত বিদ্যার পিছনে ছুটে নিজেকে শিক্ষিত বলে প্রচার করছে। দেখেও হাসি পায়।’ অ🙈পর একজন বলেন যে ‘কেউ ওই মহিলাকে অস্কার দিন।’