হলদিয়া পেট্রোকেম সংক্রান্ত মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্টেও বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার শুক্রবার অন্তর্বর্তী নির্দেশ জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত নিজেদের কোনও সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ক্যামাক স্ট্রিটে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের প্রতীকী ভবনও কোনওভাবে বিক্রি করতে পারবে না, লিজ দিতে পারবে না, হস্তান্তর করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। আগামী ৩রা জানুয়ারির মধ্যে সবপক্ষকে হলফনামার আকারে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। কারণ ৩রা জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। 𒀰;
কলকাতা পুর এলাকায় সরকারি স্থাবর সম্পত্তি আপাতত বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমও ক্যামাক স্ট্রিটের সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবে না। হলদিয়া পেট্রোকেম সংক্রান্ত এসেক্স ডেভ𒆙েলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট এর মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিতে এর আগে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট সংস্থার পক্ষে রায় দিয়েছিল। প্রসঙ্গত পেট্রোকেমের শেয়ার হস্তান্তর চুক্তি অনুসারে রাজ্যের থেকে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা🔥 পায় সংস্থাটি। সেটা না পেয়েই মামলা করেছিল তারা।
এদিকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, সরকারের বক্তব্য হাজির করেছিলেন আদালতে। টাকা কেন দেওয়া হয়নি তার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে এসেক্সের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, টাকা না মেটানোর যে যুক্তি সেটা শীর্ষ আদালতেও জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেখানে নিষ্পত্তি হয়েছে। সেক্ষেত্রে এখানে ফের আপত্তির আর জায়গা নেই। বিচারপতি শম্পা সরকার জানিয়ে দেন ফেব্ꦜরুয়ারি﷽ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে।
এদিকে এই মামলার সূত্রপাত অনেকদিন আগে। সেই সময় অনেকটা লোকসানে চলছিল হলদিয়া পেট্রোকেম। সেই সময় বেশিরভাগ অংশীদারিত্💝ব ছিল পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের হাতে। এরপর সংস্থাকে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ২০১৪ সালের ১লা মার্চ নিগম একটি চুক্তি করেছিল। সেই সময় সরকারের সঙ্গে এসেক্সের একটা চুক্তি হয়েছিল। এসেক্স রাজ্যের শেয়ার কিনে নির্দিষ্ট টাকা লগ্নি করবে বলে স্থির করা হয়েছিল। এদিকে ২০১৭ সালে জিএসটি চালু হয়েছিল। তারপর থেকেই কিছুটা জট পাকিয়ে যায়। তার পরিণতিতে আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়।