তখন করোনাভাইরাসের আবহ চলছিল। অনলাইন গেম পাবজি সময় কাটানোর মূল অস্ত্র ছিল। আর তা থেকেই প্রণয়ের সম্পর্♔ক গড়ে ওঠে যুবক–যুবতীর মধ্যে। দু’জনেই দুই রাজ্যের বাসিন্দা। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসতেই প্রেমের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন যুবক–যুবতী। সরাসরি শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু পরে ওই যুবক জানতে পারেন যাঁর সঙ্গে সহবাস করেছেন তিনি বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। তখন সম্পর্কে ইতি টানতে চায় ওই যুবক। ব্যস, ওড়িশার ওই যুবকের বিরুদ্ধে তখন ধর্ষণের মামলা দায়ের 𒁃করেন ‘প্রেমিকা’ গৃহবধূ। যুবক ফেঁসে গিয়েছে বুঝতে পেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
কী অভিযোগ প্রেমিক যুবকꦕের? আদালত সূত্রে খবর, ওড়িশার ওই যুবকের নাম কৃষ্ণ চৌরাসিয়া। তাঁকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেক টাকা হাতি🅷য়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রেমিকা গৃহবধূ। এখন এই চক্রান্ত–ষড়যন্ত্র থেকে বেরোতে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। কারণ ধর্ষণের মামলা দিয়ে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এই কথা শুনে আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
কে এই যুবক কৃষ্ণ? এই কৃষ্ণ চৌরাসিয়া ওড়িশার জলেশ্বরের ♊বাসিন্দ🅰া। বেঙ্গালুরুতে সফটওয়্যার সংস্থায় কাজ করেন। করোনাভাইরাস আবহে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছিল। তাই হাতে সময়ও ছিল বিস্তর। এই সময় কাটাতেই পাবজ🍨ি খেলাকে বেছে নেন তিনি। সেখানে খেলার সূত্রেই পরিচয় হয় প্রেমিকা গৃহবধূর সঙ্গে। তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর দেখা করেন প্রেমিকার সঙ্গে। তার পর প্রেম ব্রেকফেল করে সরাসরি সহবাসে ধাক্কা মারে। সেখানেই বিপত্তি ঘটে।
সমস্যাটি ঠিক কোথায় হল? এই বিষয়ে যুবক কৃষ্ণের দাবি, প্রেমিকা যে গৃহবধূ এবং এক সন্তানের মা সেটা তাঁকে জানানো হয়নি। ꦫতܫাই প্রেমের ঢেউ গড়ে উঠে শারীরিক সম্পর্কে আছড়ে পড়ে। বেশ কিছুদিন পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান কৃষ্ণ। আর তখনই পুলিশের দ্বারস্থও হন গৃহবধূ প্রেমিকা। যুবতী থানায় অভিযোগ করেন, তাঁকে ফুঁসলিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে।