কসবায় শুক্রবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে লক্ষ্য করে চলেছে গুলি। আর সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাকড়াও 🃏করা হয়েছে ঘটনার মাস্টারমাইন্ডকে। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ইকবালকে পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে কলকাতায়। এদিন স🦩কালেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা। তার বেশ কিছু ঘণ্টা পার হতেই এই গ্রেফতারির খবর আসে।
পুলিশ মনে করছে, এই ইকবালের থেকে তথ্য নিয়েই গোটা ঘটনার মূলে পৌঁছানো যাবে। এর আগে, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশন্ত ঘোষকে টার্গেট করে গুলি চলে। এক সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনা ধরা পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে। এদিকে, নিজের বাড়ির সামনে চেয়ারে বসেছিলেন সুশান্ত ঘোষ। তাঁর দিকে টার্গেট করে পর পর গুলি চালানোর চেষ্টা করে এই দুষ্কৃতী। কয়েকবার চেষ্টা করেও তা করতে না পারলে, বাকি সকলে মিলে দুষ্কৃতীদের ধরে ফেলে। প্রাণে বাঁচেন কাউন্সিলর। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তখনই ওই দুষ্কৃতীদের জেরা শুরু হয়। চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে আসতে থাকে। জানা যায়, কাউন্সিলর খুনে তারা ১০ হাজার টাকার সুপারি পেয়েছিল। অগ্রিম ২.৫ হাজার টাকা পেয়েছিল তারা। তবে কাউন্সিলর খুনের নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ডের খোঁ🎃জ চলছিলই। জানা যায়, বৃহস্পতিবারের ট্রেনে বিহার থেকে ৩ সুপারি কিলার বাংলায় আসে। তাদের মধ্যে একজমের নাম যুবরাজ, আরেকজনের নাম ইকবাল। তারা এই খুনের ছক আগেই করেছিল। এবার তাদের মূলচক্রী ধরা পড়েছে পুলিশের জালে।
এদিকে, কাউন্সিলরকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতার মেয়র ফিরহদ হাকিম। তিনি পুলিশকে 'অ্যাক্ট নাও' র বার্তা দেন। তিনি স👍াফ বলেন,'সীমানাগুলোয় নজরদারি বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ঢুকছে তারা? পুলিশকে বলছি✤, এদের দ্রুত গ্রেপ্তার করো। আমি চাই, কোনও অপরাধী থাকবে না।' এর আগে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও সীমানায় নিরাপত্তা নজরজারি বাড়ানোর বার্তা শোনা গিয়েছে। তিনি উৎসবের মাঝে এই দিকগুলি নিয়ে সতর্ক থাকারও বার্তা দেন। প্রশ্ন উঠছে, এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে মূল মাথা কে? কেন ইকবালরা কাউন্সিলরকে খুন করতে যায়? প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় গোটা বাংলা।