🐈 স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে মধ্যরাতের শহর যখন মহিলারা দলে দলে দখল করতে শুরু করেন, তখনই আসে সেই চাঞ্চল্যকর খবর। আক্রান্ত আর জি কর। সদ্য মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে ইতিমধ্যেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল ক্ষতর যন্ত্রণায়। প্রতিবাদে নেমেছেন চিকিৎসক, পড়ুয়া, আরও শত শত মানুষ। সেই আর জি কর-এ চিকিৎসক মৃত্যুর ক্ষতর ওপর এবার হামলা। কার্যত লন্ডভন্ড জরুরি বিভাগ। কী ঘটেছিল সেই রাতে? মুখ খুললেন কলকাতা পুলিশের গাড়ির চালক বদ্যু জামান।
﷽সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বদ্যু জামান বলেন,'একদল মানুষ হঠাৎ করে ছুটে এল, গাড়িটা ভাঙচুর করল। একটা ইট এসে লাগল আমার পিঠে, আমি তখন গাড়ির পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।'
﷽ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড় ১২টা। হাসপাতালে পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে আরজি কর চত্বরে। আতঙ্কে হতবাক ততক্ষণে প্রত্যক্ষদর্শীরা। নিমেষে নিশানা হয় জরুরি বিভাগ। ক্রমে উপরে উঠতে থাকে তারা। প্রাণ হাতে করে ততক্ষণে অনেকেই এদিক ওদিক ছুটছেন। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। ততক্ষণে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা ইট বর্ষণ করে। আহত হন বহু পুলিশকর্মী। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এদিকে, গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশ ইতিমধ্যেই দুষ্কৃতীর সংখ্যা তুলে ধরেছে। কলকাতা পুলিশ এক পোস্টে লেখে, ‘গত রাতে আর.জি. কর হাসপাতালে হানা দিয়ে আন্দোলনরত ডাক্তার ও ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা চালায় পাঁচ থেকে সাত হাজার জনের একটি বাহিনী, হাসপাতালের একাংশে ভাঙচুর করে তারা।’ এর সঙ্গেই লেখা হয়,' আমরা গর্বিত ডিসি (নর্থ) সহ ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত আমাদের সহকর্মীদের জন্য, যাঁরা সংখ্যায় তুলনামূলক ভাবে কম থাকা সত্ত্বেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সীমিত ক্ষমতায় হামলাকারীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করে যান আগাগোড়া, যতক্ষণ না অতিরিক্ত ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত হয়েছেন আমাদের বহু সহকর্মী, এঁদের মধ্যে কারো কারো আঘাত গুরুতর।' এরই সঙ্গে পুলিশের তরফে লেখা হয়,'এই হামলার নেতৃত্বে থাকা দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করেছি আমরা। এদের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'