বর্তমান পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের আর্থিক উন্নতির জন্য শিল্প ছাড়া গতি নেই। শিল্পের উন্নতির জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার অনেক চেষ্টা করলেও শিল্প উদ্যোগের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে সেই অন্ধকারেই। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রকের একটি সমীক্ꦓষায় উঠে এসেছে যে, শি🥂ল্প এবং শিল্পের কাজের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে এবং কলকারখানার সংখ্যা, শিল্প, এবং কাজের সুযোগ খুব কম। এই সমস্যার জন্য রাজ্য সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে।
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে যে, শিল্পের জন্য যে সকল জমি লিজ নেওয়া হয়েছিল, সেখানে শিল্প গড়ে তোলা হয়নি, সেগুলিতে অন্য কাজ বন্ধ করার ফরমান জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। লিজ নেওয়া জমি ফিরিয়ে আনার জন্যও নতুন আইন প্রণয়ন করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে আইনের রূপরেখা তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য বিধানসভায় মন্ত্রীগোষ্ঠীর 𝔍সাথে বৈঠকও শুরু হয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সরকারি খাস জমি যেগুলি শিল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি লিজে দেওয়া হয় সেগুলি, শিল্প স্থাপনের নামে নেওয়া হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, শিল্প স্থাপনের বদলে সেই জমিগুলিতে রিয়েল এস্টেট বা অন্য কাজে ব্য🅺বহার করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ সরকার যে উদ্দেশ্যে জমি লিজ দিচ্ছে সেটি সফল হয় না। এই গোটা বিষয়টি খুব কড়া ভাবে রোধ করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীগোষ্ঠীর একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, শিল্প ও নারী- শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ব💃িপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। যদিও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক শারীরিক অসুস্থতার জন্য বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। বৈঠকটিতে লিজ আইন নিয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়। কীভাবে লিজ আইনের ত্রুটি দূর করা যায় সে নিয়েও দীর্ঘ আলোচনা হয় মন্ত্রীগোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। এছাড়া আরও আলোচনা হয় যে, কীভাবে জমি ফেরত নেওয়ার পাশাপাশি লিজ ভঙ্গকারীদের শাস্তি ও জরিমানা ধার্য করা হবে। সূত্রে খবর পাওয়া গেছে ♔যে চলতি বিধানসভার অধিবেশনেই এই বিলটি পাশ করানো হবে।