যত কাণ্ড উড়োজাহাজে! সত্যিই একের পর এক আজব ঘটনার সাক্ষী থাকছে এয়ার ইন্ডিয়া'র বিমানের যাত্রীরা। গত মাসেই একজন পাইলটকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল ককপিটে তার বান্ধবীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ৩০ লক্ষ টাকা জরিমানাও হয় তার। সেবার অন্তত পাইলট বিমান চালাতে অস্বীকার করেননি৷ এবার ঘটল এমনই আশ্চর্য কাণ্ড! কাজের সময়সীমা শেষ, তাই আর বিমান চালাবেন না তিনি, সাফ জানিয়ে দিলেন পাইলট। তখন বিমানে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী। বিমান চালকের এমন আচরণে প্রাথমিকভাবে হকচকিয়ে যান যাত্রীরা। গতকাল অর্থাৎ, রবিবার লন্ডন থেকে দিল্লি আসার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি দিল্লিতে অবতরণের সময় খারাপ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়। এরফলে জরুরি অবতরণ করতে হয় রাজস্থানের জয়পুর এয়ারপোর্টে। আবহাওয়ার উন্নতি না হলে ফের দিল্লি পৌঁছানো সম্ভব ছিল না, অন্তত আকাশপথে। নির্ধারিত সময় অনুসারে, রবিবার ভোর চারটে নাগাদ দিল্লি পৌঁছনোর কথা যদি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির। কিন্তু দিল্লির আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় জয়পুরে নামতে হয় তারাদের। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ জানায় জয়পুর থেকে আকাশপথে বিমানে করেই দিল্লি পৌঁছে দেওয়া হবে সবাইকে। আর এমন সময়েই ঘটে বিপত্তি! জয়পুর থেকে বিমানে ওঠার সময় পাইলট বিমান সরাসরি চালাতে অস্বীকার করেন। কিন্তু সত্যিই কি তার আচরণ অস্বাভাবিক! একেবারে অযৌক্তিক দাবি কিন্তু করেননি পাইলট। তিনি জানান, তাঁর ডিউটির সময় পেরিয়ে গিয়েছে, এরপর বিমান চালাতে তিনি অপারগ। জয়পুরে আপৎকালীন অবতরণের দু’ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে দিল্লি যাত্রার ছাড়পত্র পাওয়া যায়। ঠিক এই সময়েই পাইলট বিমান চালাতে অস্বীকার করেন। বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ৩৫০ জন যাত্রীর কেউ কেউ দিল্লি পৌঁছনোর জন্য বিমানের অপেক্ষা ছেড়ে অন্য পথ ধরেন। সড়ক পথে জয়পুর থেকে দিল্লি পৌঁছান অনেকেই। কিছু যাত্রী একই বিমানে অপেক্ষা করছিলেন। অন্য পাইলটের সঙ্গে অবশেষে তাঁরা দিল্লি এসে পৌঁছান।এই ঘটনার পরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিষেবা। কিন্তু বাস্তবে এবার আর পাইলটকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সত্যিই পাইলটের কাজের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, বিকল্প ব্যবস্থা রাখা উচিৎ ছিল কোম্পানির। কেউ কেউ অবশ্য পাইলটের দায়িত্বশীলতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। আগামীতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেয় এয়ার ইন্ডিয়া, আগামীতেই মিলবে তার উত্তর।