একটা বা দুটো নয়, চলতি শিক্ষাবর্ষে দেশে ১৭৯ টি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট-সহ প্রফেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা ন'বছরে সর্বোচ্চ। অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিকাল এডুকেশনের (এআইসিটিই) পরিসংখ্যানে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।পরিসংখ্যান অনুযয়ী, গত শিক্ষাবর্ষে ৯২ টি টেকনিকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়েছিল। তার আগের শিক্ষাবর্ষগুলিতে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮৯, ১৩৪, ১৬৩ এবং ১২৬। ২০১৪-১৫ সালে ৭৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার সেই প্রতিষ্ঠানগুলির পাশপাশি কমপক্ষে ১৩৪ টি প্রতিষ্ঠান চলতি বছর নতুন করে অনুমোদন চায়নি। কারণ গত পাঁচ বছরে বড় সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় সেই প্রতিষ্ঠানগুলি চালানো সম্ভবপর হচ্ছে না। একইসঙ্গে কমপক্ষে ৪৪ টি এআইসিটিইয়ের প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পায়নি বা তাদের অনুমোদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। 'প্রোগেসিভ ক্লোজার'-এর ফলে কোনও প্রতিষ্ঠান এবার প্রথম বর্ষে পড়ুয়া ভরতি নিতে পারবে না। তবে যে পড়ুয়ারা এখনও পড়ছেন, তাঁরা কোর্স শেষ করতে পারবেন এবং তাঁরা ডিগ্রিও পাবেন। এদিকে, চলতি শিক্ষাবর্ষে ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার কলেজে এআইসিটিই অনুমোদিত ১.০৯ লাখ আসন কমানো হয়েছে। এআইসিটিইর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে ইতিমধ্যে চালু এবং নয়া ফার্মাসি ও আর্কিটেকচার কলেজের কাজকর্মের বিষয়টি দেখভাল করবে যথাক্রমে ‘ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’ এবং ‘কাউন্সিল অফ আর্কিটেকচার’। ফলে অনেক ফার্মাসি এবং আর্কিটেকচার কলেজেই এআইসিটিইর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তার জেরে একধাক্কায় কমেছে আসন সংখ্যা।পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পড়ুয়া সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় বা কোনও নির্দিষ্ট কোর্স-বিভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৭৬২ টি কলেজে ৬৯,০০০-এর বেশি আসন হ্রাস পেয়েছে। এআইসিটিইর ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, নয়া ম্যানেজমেন্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আসন সংখ্যা বাড়লেও এআইসিটিই অনুমোদিত আসন কমেছে। পাশাপাশি চলতি শিক্ষাবর্ষে ১৬৪ টি নয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছে। তার ফলে প্রায় ৩৯,০০০ আসন বেড়েছে।