জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রী ঈশিতা বড়ুয়া। একাধিক রোগে আক্রান্ত সে। মাত্র ১৭ বছরের এই মেয়েটি একাধিক হাড়ের রোগে আক্রান্ত। ফলে এই রোগগুলো তার লম্বা হওয়ার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তবুও নানা✃ শারীরিক প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ঈশিতা এবারের ISC রেজাল্টে ফাটাফাটি রেজাল্ট করেছে।
ঈশিতার উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৮ ইঞ্চি। তাঁর একাধিক হাড়ের রোগ আছে। আছে নানা শারীরিক জটিলতা। তবুও হার মানেনি ঈশিতা। অদম্য ইচ্ছে শক্তি নিয়ে মেয়েটি এগিয়ে গিয়েছে। ISC ২০🧸২৩ -এ সে ৯৮.৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যা কিনা তার একাধিক সহপাঠীর থেকে অনেকটা বেশি। ইলেকট্রিভ🔯 ইংলিশ এবং সোশিওলজিতে তিনি ১০০ -তে ১০০ পেয়েছেন।
ঈশিতা এই ভালো ফলাফলের জন্য তাঁর স্কুল এবং বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর অসুস্থতার জন্য বোর্ড তাঁকে অতিরিক্ত সময় দিয়েছে পেপার সাড়ার জন্য। ঈশিতা টাই♒মস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানান, 'আমার হাঁটতে এতটাই অসুবিধা হয় যে আমি একা বাথরুমে পর্যন্ত যেতে পারি না। আমার টিচার এবং বন্ধুরা অনেক সাহায্য করত। আমায় কেবল বাড়ির লোক নয়, স্কুল থেকে টিচার্স বন্ধুরা সবাই সাহায্য করেছে।'
ঈশিতা দীর্ঘক্ষণ এক ভঙ্গিতে বসতে পারে না। অন্যদের মতো জোরে সে 💃হাঁটাচলা করতে পারে না। তাঁর একাধিক এপিফাইজিল বোন ডিস্পলেসিয়া আছে। মাত্র ৭ দিন বয়সে তাঁকে অপারেশন করাতে হয়েছিল। ছোট থেকে এই সমস্যায় আক্রান্ত সে। তার অস্টিওআর্থরাইটিস আছে, সঙ্গে আরও একাধিক রোগ।
এমন একাধিক রোগ নিয়েও এত ভালো ফলাফল করেছে ঈশিতা। এই বিষয় তাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক কী জানালেন? জিডি বিড়লা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিস্টার লুকাস জানিয়েছেন, 'ও আমাদের স্কুলের গর্ব। ঈশিতা বরাবর পড়াশোনায় ভালো ছিল। খুব মনে🌊 দিয়ে পড়ত। রোজের পড়া, কাজ রোজ করে আসত। স্কুলের তরফে যে ইন্টারঅ্যাক্টিভ লার্নিং ক্লাস হতো সেখানে দারুণ ভাবে অংশ নিত ও। ওর জন্য এত সংবাদমাধ্যম ফোন করছে যে আমার বলতেও ভালো লাগছে। ও বাকিদের কাছে একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।'