'অগ্নিপথ' হিংসায় জড়িতদের কোনওভাবে নিয়োগ করা হবে না। রবিবার তা স্পষ্ট করে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেইসঙ্গে মন্তꦬ্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অগ্নিবীর’ প্রার্থীদের মুচলেকা দিতে হবে। হবে পুলিশি যাচাই পর্ব।
রবিবার ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী বলেন,'শৃঙ্খলা হল ভারতীয় সেনার ভিত্তি। হিংসা, ভাঙচুরের কোনও জায়গা নেই। প্রত্যেককে একটি শংসাপত্র দিতে হবে যে তাﷺঁরা কোনও বিক্ষোভ বা ভাঙচুরে যুক্ত ছিলেন না। ১০০ শতাংশ প্রাꦬর্থীর পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া হবে। সেটা ছাড়া কেউ সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না।'
'অগ্নিপথ' প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলেছে। জ্বালানো হয়েছে আগুন। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রেন, গাড়ি। চলেছে তাণ্ডব। সেই পরিস্থিতিতে✅ রবিবার সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতিরিক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী বলেন, ‘যদি তাঁদের (প্রার্থী) বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়, তাহলে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারবেন না। আবেদনপত্রে লিখতে হবে যে তাঁরা হিংসায় যুক্ত ছিলেন না। (তারপর) পুলিশি যাচাইপর্ব চলবে।’
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা:
১) সা🐓মরিক বাহিনী সংক্রান্ত দফতরের অতির💧িক্ত সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল পুরী: লেফটেন্যান্ট জেনারেল আগামী চার-পাঁচ বছরে ৫০,০০০-৬০,০০০ জওয়ান নিয়োগ করা হবে। যা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ৯০,০০০ থেকে এক লাখ করা হবে। পরবর্তীতে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১.২৫ লাখ। প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণের জন্য প্রথমে ৪৬,০০০ জনকে নিয়োগ করব আমরা।
২) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক: সরকারি চাཧকরির ক্ষেত্রে অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার প্রদানের যে ঘোষণা করছে বিভিন্ন মন্ত্রক এবং কেন্দ্রের দফতর, তা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল। অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণার পর দেশের একাংশে যে হিংসা ছড়িয়েছে, সেই কারণে তড়িঘড়ি ঘোষণা করা হচ্ছে না।
৩) প্রতিরক্ষা মন🙈্ত্রক: পুলিশ বাহিনীতে অগ্নিবীরদের নিয়োগে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি রাজ্যকে অনু🍨রোধ করা হবে। কারণ যিনি যে রাজ্যের বাসিন্দা, তিনি তো চার বছর পর সেই রাজ্যেই ফিরে যাবেন