ষষ্ঠ শ্রেণির বই ছাপাতে মাসের পর মাস দেরি হচ্ছে। এবার কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রকাশে বিলম্বের জন্য রীতিমত তিরস্কার করেছে তারা। শিক্ষামন্ত্রী শিশুদের শিক্ষা নিয়ে খেলা করছেন বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এই ইস্যুতে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করে, কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছেন, হয় সমস্যা গভীরে রয়েছে নয়তো অত্যন্ত অযোগ্যতা, প্রতিদিন নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিলে বইগুলো প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও হয়নি। তাই ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন বই প্রকাশে বিলম্ব নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল সম্প্রতি। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান একটি সভায় নিউ কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক (এনসিএফ) অনুসারে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের উন্নয়ন পর্যালোচনা করার জন্য বৈঠক ডেকেছিলেন।পর্যালোচনায় উপস্থিত ছিলেন সেক্রেটারি, স্কুল এডুকেশন অ্যান্ড লিটারেসি, এনসিইআরটি ডিরেক্টর এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই) এর চেয়ারপার্সন।
এনসিইআরটি এর আগে বলেছিল যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন বই চালু করা হবে। সেই মতো তারা এই সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণীর জন্য ইংরেজি এবং হিন্দি বই প্রকাশ করেছে। তৃতীয় শ্রেণীর জন্যও বই প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এখনও ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানের বই প্রকাশ করতে পারেনি ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং।
কী কী বলেছেন জয়রাম রমেশ
এই প্রসঙ্গেই, বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন জয়রাম রমেশ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করে জয়রাম রমেশ জয়রাম রমেশ আরও বলেছিলেন যে জাতীয় পাঠ্যক্রম এবং টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল কমিটি (এনএসটিসি) এখনও কী কী বই দেওয়া হবে, সেটাই চূড়ান্ত করে উঠতে পারেনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, চূড়ান্ত করার পর বইগুলো ছাপাতে আরও ১০-১৫ দিন সময় লাগবে। রমেশের দাবি, কর্মকর্তারা মনে করছেন যে সব সময় মিলিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের নতুন বই দিতে পুরো দুই মাস সময় লাগবে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা মন্ত্রকের এক সিনিয়র আধিকারিক বার্তা সংস্থা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য, তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন বই চালু করা হবে। পাঠ্যপুস্তক উন্নয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তৃতীয় ও ষষ্ঠ জন্য নয়টি পাঠ্যপুস্তক ইতিমধ্যে উপলব্ধ রয়েছে। বাকি আটটি খুব শীঘ্রই বাজারে নিয়ে আসা হবে। এনএসটিসি-কে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত নতুন বই তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, বর্তমান শিক্ষাবর্ষে শুধুমাত্র তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে নতুন বই চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।