গবেষণাপত্র প্রকাশের নিরিখে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে এগিয়ে এল ভারত। ২০১০ সালে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশের নিরিখে সপ্তম স্থানে ছিল দেশ। সেখান থেকেই ৪ ধাপ উঠে নতুন নজির গড়ল ভারত। সম্প্রতি আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন একটি রিপোর্ট পেশ করে। সেখানেই জানা যায় এমন তথ্য। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অনেকটাই বেড়েছে ভারতের গবেষণার হার। সেই তালে তাল মিলিয়েই বেড়েছে গবেষণাপত্র প্রকাশের হার। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন সারা বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১০ সালে সারা দেশে মোট ৬০৫৫৫ টি বিজ্ঞানবিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালে সেটি লাখের কোঠা ছাড়িয়ে ১৪৯২১৩-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ফাউন্ডেশনের সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং নির্দেশকের সাহায্যে এটি মাপা হয়।এই প্রসঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, গত কয়েক বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে দেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। তারই প্রতিফলন হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায়। স্বাভাবিকভাবে বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারত।একই সঙ্গে তিনি জানান, গবেযণাপত্রের পাশাপাশি পেটেন্ট বা স্বত্ব অনুমোদনের হারও আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে দেশে। শেষ তিন বছরের হার দেখলেই সেটি বোঝা যাবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীর কথায় ২০১৮-১৯ সালে ২৫১১ স্বত্ব অনুমোদন করা হয়। ২০১৯-২০ সালে সংখ্যাটি বেড়ে ৪০০৩ হয়েছিল। ২০২০-২১ সালে সরকারের তরফে মোট ৫৬২৯ স্বত্ব অনুমেদিত হয়।জিতেন্দ্র বলেন, এর পিছনে মোদী সরকারের অনেকটাই ভূমিকা রয়েছে। এনডিএ সরকারের আমলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির স্বার্থে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কর্পোরেট সেক্টর যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসা করতে পারে তার জন্য বেশ কয়েকটি পরিকল্পনাও করা হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বেড়েছে বিজ্ঞানের খাতে। সরকারের এমন বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তেরই সুফল মিলছে এখন, এমনটাই দাবি করেন জিতেন্দ্র সিং।