ভারতের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ไ। কিন্তু হস্টেলে এক ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হস্টেলে ঘুঘুর বাসা গড়ে ওঠার অভিযোগের মধ্যেই নেটিজেনদের একাংশ যাদবপুরে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর সেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছেলে যুক্ত আছেন ঐতিহাসিক চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে। কোনও না কোনওভাবে যে তিনজনের (সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত এবং অনুজ নন্দী) শিরায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রক্ত বইছে। সায়নবাবু এবং অমিতাভবাবু ইসরোর একটি প্রজেক্টে (সফট ল্যান্ডিং ন꧙িয়ে) কাজ করেছিলেন। আর অনুজবাবু সরাসরি ইসরোয় কাজ করেন।
কয়েক ঘণ্টা পরেই যাঁদের নাম ভারত তো বটেই, পুরো বিশ্বের ইতিহাসে চিরকালের খোদাই হয়ে যেতে পারে। কারণ কয়েক ঘণ্টা পরেই চাঁদের মাটিতে অবতরণ করতে চলেছে চন্দ্রযান-৩। সেই 'ল্যান্ডিং' যদি সফল হয়, তাহলে ইতিহাস গড়বে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো। বিশ্বের কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামতে পারেনি। বিশেষত সায়নবাবু এবং অমিতাভবাবু সরাসরি এমন বিষয় নিয়ে ইসরোর প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন, যে প্রজেক্টের বিষয় ছিল ‘সফট ল্যান্ডিং’। অর্থাৎ চন্দ্রযান🎶-২ ঠিক যে ধাপে আটকে গিয়েছিল, সেটা পার করে যাতে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে নামতে পাﷺরে, সেইজন্য ইসরোর প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন তাঁরা।
অনুজ নন্দীর ইতিবৃত্ত
ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার ছেলে আপাতত ইসরোয় কাজ করেন। চন্দ্রযান ৩-র ক্যামেরা ডিজাইন তৈরি করেছেন অনুজ। যিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স বা পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশ♍োনা করেছিলেন বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
সায়ন চট্টোপাধ্যায়ের ইতিবৃত্ত
২০২০ সালে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩ মিশনে যুক্ত আছেন যাদবপুরের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিജকমিউনিকেশনসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জানিয়েছিলেন, সিমুলেশন-বেসড মডেল নিয়ে কাজ করেছেন। চাঁদের মাটিতে যখন ল্যান্ডার অবতরণ করবে, সেইসময় যাতে 'হার্ড ল্যান্🙈ডিং' না হয় তথা ল্যান্ডার ভেঙে না পড়ে এবং পালকের মতো চাঁদের মাটিতে নেমে আসে ল্যান্ডার, সেজন্য ওই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেইসময় সায়নবাবু জানিয়েছিলেন, চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময় নিজের কৌণিক দৃষ্টি দিয়ে ল্যান্ডার দেখবে, যেখানে সেটি নামবে, সেখানে কোনও পাথর বা বোল্ডার আছে কিনা। তাঁর কথায়, 'তথ্যের ভিত্তিতে আ💧মরা ডিজাইনের কাজ ও সিমুলেশনের কাজটা করছি। ওড়ার সময় কৌণিক দৃষ্টিভক্তি থেকে কোনও শিকারকে যেমন ধরে কোনও বাজপাখি, সেটার সঙ্গে আমরা এই বিষয়টার তুলনা করতে পারি আমরা।'
অমিতাভ গুপ্তের ইতিবৃত্ত
২০২০ সালে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অমিতাভবাবু জানিয়েছিলেন যে চাঁদে ল্যান্ডারের নিখুঁতভাবে অবতরণ, কীভাবে ল্যান্ডার ঘোরাফেরা করে, কীভাবে ল্যান্ডার ঘোরানো যাবে, কীভাবে অবতরণের সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁরা গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এই গবেষণার বিষয়টা শুধুমাত্র ইসরোর চন্দ্রযান মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ন🌳য়। চাঁদ ছাড়াও অন্য কোনও গ্রহে ইসরোর মিশনের সময় সফট ল্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এটা কাজে লাগতে পারে।’