টিভি-র খবরে মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে নিজের নাম শুনে অরিত্র পালের প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি। কিন্তু তার পরে স্কুলের নাম শুনে বিস্ময়ে, আনন্দে সে কেঁদে ফেলে। সংবাদমাধ্যমের কাছে এ ভাবেই নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেছে কৃতী।মাধ্যমিকে প্রথম দশের মধ্যে থাকার বিষয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরে নিশ্চিত ছিল বরাবরই মেধাবী ছাত্র অরিত্র। তবে প্রথম স্থান লাভের কথা মাথায় আসেনি বলে সে জানিয়েছে। স্কুল এবং কোচিংয়ের শিক্ষকদের থেকে আগাগোড়া সাহায্য পেয়েছে বলে স্বীকার করেছে সে। স্কুল এবং কোচিং ক্লাস সেরে বাড়িতে পড়াশোনার বিশেষ সময় পায়নি বলেই জানিয়েছে মোট ৬৯৪ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করা অরিত্র। মাধ্যমিকের প্রস্তুতি হিসেবে রোজ রাত ৮-১১টা পর্যন্ত, আবার রাতে খাওয়া সেরে ১.৩০টা পর্যন্ত সে পড়তে পেরেছে। বলা দরকার, এবার মেধা তালিকায় ৮৪ জনের নাম থাকলেও প্রথম স্থানে একমাত্র অরিত্র পালই রয়েছে। অঙ্ক অরিত্রর প্রিয় বিষয়। ভবিষ্যতে অঙ্ক-ভিত্তিক কেরিয়ার গড়ারই লক্ষ্য রয়েছে তার। ডাক্তারির পাঠ নেওয়ার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে গবেষণামূলক কাজে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রের। পড়াশোনার বাইরে তার প্রিয় শখের মধ্যে রয়েছে ছবি আঁকা। জানিয়েছে, গত আট বছর ধরে সযত্নে লালন করে এসেছে এই শখ। অরিত্রর সাফল্যে স্বভাবতই গর্বিত তার মা। কৃতী ছাত্রের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত স্কুল ও কোচিংয়ের শিক্ষকরাও। চলতি বছরে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০,০৩,৬৬৬ জন। গত বারের তুলনায় এ বার পাশের হার বেড়েছে। ৯৬.৫৯% পাশের হার নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সবার উপরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।