২০২৪ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসন সংখ্যা ৫০% বাড়ানোর পরিকল্পনা করল কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ‘ইনস্টিটিউটস অফ এমিনেন্স’ উদ্যোগে আরও ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শামিল করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে মন্ত্রক। শুক্রবার শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক এই উদ্দেশে ইউজিসি প্রধান ডি পি সিংয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। মেধাবী পড়ুয়াদের দেশীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে এই কমিটি। ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।শুধু তাই নয়, আইআইটি, এনআইআইটি ও আইআইআইটি-র ডিরেক্টর, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সিওএ এবং উপাচার্যদের নিয়ে একাধিক সাব-কমিটি তৈরি করা হবে যেগুলি এই বিষয়ে ইউজিসি প্রধান এবং এআইসিটিই চেয়ারম্যানকে সাহায্য করবে।বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতে ইনস্টিটিউট অফ এমিনেন্স তালিকাভুক্ত ২০টি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০টি করা হবে। বিশ্ব মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সংখ্যা বাড়াতে হলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সম্মতি নিতে হবে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে। পাশাপাশি, প্রতি বছর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে ভারত ছেড়ে যাওয়া মেধাবীর সংখ্যায় হ্রাস টানতেও এ দিনের বৈঠকে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন পোখরিয়াল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে দেশেই যাবতীয় শিক্ষা সংক্রান্ত সুবিধা দেওয়ার প্রয়াস করতে হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন মন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, করোনা অতিমারী আবহে বিদেশে পাওয়া সুবিধা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাওয়া গেলে বহু মেধাবী পড়ুয়াই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে প্রায় ৭.৫ লাখ পড়ুয়া উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হয়েছেন। কেন্দ্রীয় উচ্চশিক্ষা সচিব অমিত খারে জানিয়েছেন, বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি ভারতীয় মেধাবী পড়ুয়াদের আকর্ষণের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেই সমস্ত কারণ অনুসন্ধান করে সেই বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ করার কথা তিনি জানান। পাশাপাশি, বিদেশি ছাত্রদের ভারতে এসে শিক্ষালাভের উদ্দেশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে জানান খারে। ইউজিসি প্রধান ডি পি সিং বলেন, ভারতে আরও বেশি সংখ্যক উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থা, ডুয়াল ডিগ্রি ব্যবস্থা এবং উন্নত গবেশণাক্ষেত্রের সুবিধা তৈরি করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর সংস্থা একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন এআইসিটিই চেয়ারম্যান অনিল সহস্রবুদ্ধে।