উৎপল পরাশর
গত ৮ দিনের মধ্যে ২ দিন অসমে ꧟মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অসমের ৩৫ টি জেলার মধ্যে ২৬ টিতে রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ। তবে রবিবার ৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। উল্লেখ্য, সরকারি নিয়োগের জন্য এক পরীক্ষা চলাকালীন এই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে রাজ্য সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রবলভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে এই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়। যাতে আর কোনওভাবে ইন্টারনেট মাধ্যমে সরকারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়,তার জন্যই এই বন্দোবস্ত। যাতে পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য কড়া প্রহরা রাখা হয়েছে। কোনও পরীক্ষার্থীকে হল- এ মোবাইল বা ইলেকট্রনিকের কোনও জিনিস নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য, অসমের রাজ্যসরকারি পদে ১.৪ মিলিয়ন পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩০ হাজার পদের জন্য। এই রাজ্যসরকারি পদের নানান পরীক্ষায় এরপর সেপ্টেম্বরেও রয়েছে আরও একটি লিখিত পরীক্ষা। তবে সেই সময়ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে কি না, তার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। দেশে মদ্যপান কমছে! মহিলারা ঝুঁকছেন তাড়ি, বিয়ারের ♓দিকে, আর পুরুষরা? বলছে সমীক্ষ
এর আগে অগস্টের ২১ তারিখে ৫ লাখ পরীক্ষার্থী ১০০৩৬ টি রাজ্য়সরকারি পদের জন্য আবেদন করেন। সেবার ২৪ টি জেলায় ছিল পরীক্ষার সেন্টার। পরীক্ষা ছিল সরকারি পদের গ্রেড ফোর স্তরে নিয়োগের জন্য। ইতিমধ্যেই যাতে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়, তার জন্য আবেদন করেছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এর আগে বরাক উপত্যকার কচর জেলার একাধির পরীক্ষার্থী সঠিক সময়ে প্রবেশ করতে পারেননি পরীক্ষা কেন্দ্রে। সেই সময় রাস্তায় ট্রাফিক থাকার ফলে এই ঘটনা ঘটে যায়। এদিকে, রবিবার মোবাইল ইন্টারনেট ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা অসুবিধা হওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন অসমবাসীর কাছে। তিনি বলেন, ‘আমি সকলের কাছে এই অসুবিধার জন্য ক্ষমা চাইছি। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও তার সংযোগের ইন্টারনেট খোলা 🌊থাকবে। এই পদক্ষেপ দরকার ছিল। কারণ যদি প্রশ্নপত্র হোয়াটসঅ্যাপ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে, তাহলে তা বড়সড় ক্ষোভ তৈরি করবে। আমরা সেই ঝুঁকি নিতে চাইনা।’