পঠনপাঠন এখনই শুরু না হলেও সোমবার থেকে বেশ কয়েকটি দফতর খোলা থাকছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।আজ থেকে রাজ্যের সরকারি অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরও বেশ কিছু দফতর খুলে যাচ্ছে। রেজিস্ট্রারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ৮ জুন থেকে যখনই প্রয়োজন তখনই উপাচার্যকে পাওয়া যাবে। সহ উপাচার্যের (PKG, CB) দফতর সোম, বুধ, শুক্র এই তিন দিন খোলা থাকবে।এ ছাড়া রেজিস্ট্রারের অধীনস্থ সমস্ত বিভাগ খুলে যাচ্ছে। রেজিস্ট্রার, ল সেল, সহকারী রেজিস্ট্রার, যুগ্ন রেজিস্ট্রার, এস্টেট পার্সোনেল, মিটিং, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিস, রেকর্ড অ্যান্ড ডেসপ্যাচ, হসপিটালিটি সেল, রিসার্চ, স্কলারশিপ, মাস্টার রোল, স্ট্যাটিসটিকাল ডেটা ইউনিট, ফরেন স্টুডেন্ট সেল, সেন্ট্রাল মনিটরিং সেল সপ্তাহে তিন দিন করে খোলা থাকছে।PhD ও পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজকর্ম-সহ সেক্রেটারিয়েট অফ ফোর ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার করে সপ্তাহে ২ দিন করে খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ফিন্যান্স অফিসের অধিনস্থ সমস্ত বিভাগ এবং কন্ট্রোলার অফ একজামিনেশন-এর অফিস সপ্তাহে তিন দিন খোলা রাখা হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সব সময়ই পাওয়া যাবে ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে।রেজিস্ট্রারের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উক্ত বিভাগগুলির সমস্ত কর্মীদের বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ইউনিভার্সিটি স্টাফ কোয়ার্টারে থাকা সমস্ত কর্মীর উপস্থিতি বাধ্যতমূলক করা হয়েছে।ক্যাম্পাস জীবাণুমুক্ত করার কাজ যেমন চলছে তেমনই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় কন্ট্যাক্ট ফ্রি স্যানিটাইজিং মেশিন বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে। কর্মীদের কথা ভেবেই অরবিন্দ ভবন লাগোয়া ক্যান্টিন খোলা রাখার বন্দোবস্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার শর্ত হিসেবে করোনা সতর্কতা মেনে চলার কথা বলা হলেও যাতায়াতের হয়রানি এবং সংক্রমণের আশঙ্কায় কর্মীরা বেশ উদ্বেগেই রয়েছেন।