লকডাউনের জেরে বেতন কাটা ও লোক ছাঁটাই যখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন স্কুল-কলেজে বিভিন্ন শিক্ষক পদে মোট ৩৩৭ জনকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার।এর মধ্যে রাজ্য সরকার মাধ্যমিক স্তরের জন্য ১৭৫ জন স্নাতক শিক্ষক ও ৬৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষক এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য আরও ৪২ জন উচ্চ মাধ্যমিক ও ১৫ জন স্নাতক শিক্ষক নিয়োগ করবে।এ ছাড়া কলেজগুলিতে ৪০ জন সহকারী অধ্যাপক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, ‘আমরা স্কুল শিক্ষকদের বাছাইয়ের প্রক্রিয়া শুরু করতে ত্রিপুরা রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের কাছে আবেদন পাঠিয়েছি।’সহকারী অধ্যাপকদের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, তাদের বাংলা, সংস্কৃত, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও মানব শরীর বিজ্ঞানের জন্য ৪ টি পদ, ইংরেজির জন্য ১০ টি, এডুকেশন ও ইতিহাসের জন্য ৫ টি এবং প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জন্য ২টি পদ রয়েছে।মন্ত্রী বলেন ত্রিপুরা পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপকদের নিয়োগ হবে ।চলতি বছরের ৩১ মে অবধি ত্রিপুরা সরকারের কেরিয়ার পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন মোট ১,৯০,২৭৮ জন বেকার।এর মধ্যে ৫৪,৩৮৩ জনের দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, ৯৭৩৭ জনের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। আরও ১৮০৭৪ জন নবম শ্রেণি, ৫৪৩৮৩ জন দশম শ্রেণি, ১৬৫৯ জন একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন ৫০৪৩৩ জন।এ ছাড়াও এখানে ১,৯২৫ জন এবং আরও ২০২১ জন বেকার রয়েছেন যারা যথাক্রমে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরে ডিপ্লোমা করেছেন। রাজ্যে আরও ৪০,৪৪৫ জন স্নাতক, ১০,০৬৫ জন স্নাতক, ৪৪ জন স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি ধারী, ১১ ৩ জন PhD ডিগ্রি পাওয়া এবং ১৭৬ জন ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে পাস করা বেকার আছেন।