এবার ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে অক্সফোর্ড, ইয়ালের মতো বিশ্ববিদ্যালয়? ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নয়া পদক্ষেপের ফলে সেই রাস্তা খুলে যেতে পারেꦛ বলে সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ভারতে ক্যাম্পাস খুলবে কিনা, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ভারতের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি খসড়া নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে ই🧔উজিসি। যে খসড়া নিয়মবলীতে ভারতের বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নিজেদে💫র ভরতি প্রক্রিয়া, ফিয়ের মতো বিষয়গুলি নির্ধারণের ক্ষমতা প্রদানের প্রস্তাবনা আছে। ওই খসড়া চুক্তি নিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে আমজনতাকে নিজেদের মতামত জানাতে বলা হয়েছে। তার ভিত্তিতে চলতি মাসের মধ্যেই সেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হতে পারে।
২০২০ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকারের 🥂আমলে পেশ করা নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতে সেই খসড়া চুক্তি তৈরি করেছে ইউজিসি। যে শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছিল যে 'বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি যাতে ভারতে আসতে পারে, সেজন্য সাহায্য করা হবে।' ভারতের অন্যান্য স্বয়ংশাসিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনের মতো বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে এবং আইনি কাঠামো ♔তৈরিরও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিতে।
সেই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির ভিত্তিতেই এবার খসড়া নিয়মাবলী তৈরি করেছে ইউজিসি। ওই খসড়া চুক্তিতে জানানো হয়েছে, ইউজিসির অনুমোদন ছাড়া কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে ক্যাম্পাস চালু করতে পারবে না। সার্বিকভাবে বা বিষয়ের নিরিখে বিশ্বের প্রথম ৫০০-র মধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে থাকতে হবে। যা নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্ধারণ করবে কমিশন। অথবা যে দেশে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস আছে, সেখা⛦নে স্বꦬনামধন্য হতে হবে। তবেই ভারতে ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন মিলবে।
ইউজিসির খসড়া চুক্তিতে জানানো হয়েছে, কোনও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন পেলে তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করবে ভারতের উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। আবেদন জমা পড়ার ৪৫ দিনের মধ্যে ওই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা, কী কী কোর্স থাকবে, ভারতে শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর পরিকল্পনা, শিক্ষার প্রস্তাবিত কাঠামোর মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। সেই ঝাড়াই-বাছাইয়ের পর যে বিশ্ববিদ্যালয়গ🍎ুলি অনুমোদন পাবে, সেগুলিকে দু'বছরের মধ্যে ভারতে ক্যাম্পাস তৈরি করতে হবে। নবম বছরে গিয়ে ফের আবেদন পুনর্নবীকরণের সুযোগ থাকবে।
আরও পড়ুন: বৈজ্ঞানিক রিসার্চ পেপার পꦰ্রকাশনায় বিশ্বে সাত থেকে তিনে উঠে এল ভা♒রত
খসড়া নিয়মাবলী অনুযায়ী, নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী ভারত ও বিদেশ থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের অধিকার থাকবে সংশ্লিষ্ট বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির। শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের বেতন, যোগ্যতা এবং চা🧸করির শর্ত নির্ধারণ করতে পারবে। মূল ক্যাম্পাসের যে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়, ভারতেও সেই মাপকাঠি বজায় রাখতে হবে। সেইসঙ্গে যে বিদেশিদের পꦏড়ানোর জন্য নিয়োগ করা হবে, তাঁরা যেন ভারতের ক্যাম্পাসের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকেন।
ইউজিসির খসড়া নিয়মাবলীতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, অফলাইন মোডে ফুল-টাইম কোর্স পড়াতে হবে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে। সেইসঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি চালাবে কমিশন♚ের। নিয়মভঙ্গ করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে। শুধু তাই নয়, ভারতের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে বিপজ্জনক, এমন কোনও কাজ করা যাবে না ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে কর্মকাণ্ড চলবে, তা কোনওভাবে ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা, দেশের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আইন-শৃঙ্খলা, নৈতিকতার সীমারেখা অতিক্রম করতে পারবে না বলে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে।