একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। গত দুই বছর ধরে ওডিআইতে রানের খরা চলছিল। তার পরেও সৌম্য সরকারকে দলে সুযোগ দেওয়া নিয়ে সমালোচনার ঝড়ে বয়ে গিয়েছিল। এমন কী ম্যাচের আগের দিনও সৌম্যকে নিয়ে অনেক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে। তবে সৌম্যর পাশে দাঁড়িয়ে, তাঁকে যাবতীয় ঝড়ঝাপ্টা দেখে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন হাথুরুসিংহে। আর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই-এ কোচের এই ভরসার পূর্ণ মর্যাদা দিলেন সৌম্য সরকার। তাঁর দেড়শো ছ💧াড়ানো ইনিংসের হাত ধরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ভদ্রস্থ স্কোর করে। সেই সঙ্গে সৌম্য ভেঙে দেন সচিন তেন্ডুলকরের প্রায় ১৪ বছরের পুরনো রেকর্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কিউয়িদের বিপক্ষে এই টাইগার ব্যাটার ২২💖টি চার এবং ২টি ছক্কার হাত ধরে ১৫১ বলে অনবদ্য ১৬৯ রানের ইনিংস খেলেন। আর সৌম্যর ইনিংসের সুবাদেই ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রান করে বাংলাদেশ। এক🧔 বল বাকি থাকতেই অবশ্য তারা অলআউট হয়ে যায়।
৩০ বছর বয়সী তারকার এই স্কোর বিদেশের মাঠে ওয়ানডেতে করা বাংলাদেশের কোনও পুরুষ ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান। আগের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, তিনি করেছিলেন ১২৮ রান। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের মাঠে উপমহাদেশের একজন𒀰 খেলোয়াড়ের ওয়ানডেতে করা সর্বোচ্চ স্কোর। কিউয়িদের বিরুদ্ধে এর আগে সচিন তেন্ডুলকরের অপরাজিত ১৬৩ রানের নজিরকে এদিন টপকে গিয়েছে সৌম্য। ২০০৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে সচিন কিউয়িদের বিরুদ্ধে ১৬৩ রান করেছিলেন। মোট ২৯১টি নিউজিল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওডিআই স্কোর।
আরও পড়ুন: অনাম🍨ী কুশাগ্রার পিছনে ৭.২ কোটি খরচ করল দিল্লি, ধারেকাছে নেই বিদেশিরাও,কেমন নিলাম হল DC🌊-র?
আগের ম্যাচে চার বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বল হাতেও বাজে পারফর্ম করেছিলেন সৌম্য। স্বাভাবিক ভাবেই এদিনের ম্যাচের একাদশে তিনি সুযোগ পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সৌম্যকে নিয়েই দল সাজায় টিম ম্যানেজম্যান্ট। আর এই সুযোগটা হাতছাড়া করেননি সৌম্যও। কারণ এদিন ব্যর্থ হলে হয়তো তাঁর ক্যারিয়ার অন্ধকারꦡে তলিয়ে যেতে পারত। বরং আগ্রাসী মেজাজে খেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান সৌম্য। বাংলাদেশের জার্সিতে চার বছর পর ৫০ পার করা সৌম্য ১১৬ বল খেলে এদিন নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতরান করেন। পাঁচ বছর পর তি꧙নি সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন।
এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতꦍে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। সৌম্য ছাড়া ৪৫ (৫৭ বলে) রান করেছেন মুস্তাফিজুর রহিম। এর বাইরে বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেনি কেউ। ছয় জন তো এক অঙ্কের ঘরেই আটকে গিয়েছেন।